দাবি-মেনে-নেয়ার-আশ্বাস-আন্দোলন-প্রত্যাহার-মাভাবিপ্রবির-শিক্ষার্থীদেরদাবি মেনে নেয়ার আশ্বাসে আন্দোলন তুলে নিলেন মাভাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা। মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রেস প্রকাশনা অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মো. আজিজুল হক বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবিদাওয়া নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি সবগুলোই পর্যায়ক্রমে আগামী পনের দিনের মধ্যে মেনে নেয়া হবে। পরে সেই আশ্বাসেই ওরা ওদের আন্দোলন স্থগিত করেছে।’ দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাসে আন্দোলন তুলে নিয়েছেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। শনিবার রাত ১টার পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনসহ হলগুলোর তালা খুলে দেন। এতে মাভাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেনসহ প্রশাসনিক ভবনে অবরুদ্ধ থাকা শিক্ষকরা ছাড়া পান। এর আগে, শনিবার দুপুর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ডাইনিং সুবিধা না থাকাসহ নানা সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে তা সমাধানের দাবিতে আন্দোলনে নামেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এরই ধারাবাহিকতায় প্রশাসনের সঙ্গে দিনভর আলোচনা করে কোনো সমাধান না আসায় শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রশাসনিক ভবনে তালা দেন শিক্ষার্থীরা। এতে অবরুদ্ধ হন ভবনে থাকা উপাচার্যসহ প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা শিক্ষকরা। এ ছাড়া শনিবার দুপুরে প্রথমে শেখ রাসেল হলের গেটে তালা দেন শিক্ষার্থীরা। এরপর বিকেলে ও সন্ধ্যায় যথাক্রমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও জননেতা আব্দুল মান্নান হলে তালা দেন তারা। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের হলে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ নেই। নেই কোনো ইন্টারনেট ব্যবস্থা। আবাসিক শিক্ষার্থীদের বাইরে থেকে খাবার কিনে খেতে হয়। এ কারণে তারা এসব বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কয়েক দফা মিটিং করার পরও সমাধান হয়নি। তাই তারা এই দুই হল ও প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছেন। ওই সময় দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। তাদের দাবিগুলো হলো শেখ রাসেল হলের ডাইনিং ও ইন্টারনেট চালু, ইলেকট্রনিক সমস্যার সমাধান, লোকবল বৃদ্ধি করা, মসজিদে মাইকের ব্যবস্থা, সাইকেল-বাইক রাখার গ্যারেজের ব্যবস্থা, খেলার ব্যবস্থা করা ইত্যাদি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মানিক শীল ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির একাত্মতা প্রকাশ করেন। তারা রাতেই প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ওই সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন শেখ রাসেল হলের মিল চালুর জন্য দুই সপ্তাহ সময় নিয়েছেন। এ ছাড়া বাকি দাবিগুলো এখনই সমাধান করতে কাজ করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার কাফেটেরিয়া খোলা রাখার ব্যবস্থাও করা হবে বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, শেখ রাসেল হলের ডাইনিং চালু না হওয়া পর্যন্ত এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। গ্যাসের সুবিধা না থাকায় ৫০০ থেকে ৬০০ জন শিক্ষার্থীকে দুই বেলা খাওয়ানো অসম্ভব। সমস্যা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে। মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রেস প্রকাশনা অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মো. আজিজুল হক বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবিদাওয়া নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি সবগুলোই পর্যায়ক্রমে আগামী পনের দিনের মধ্যে মেনে নেয়া হবে। পরে সেই আশ্বাসেই ওরা ওদের আন্দোলন স্থগিত করেছে।