ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার মহেষপুরে আবাসিক এলাকায় গড়ে উঠা জেএমকে নামে একটি অবৈধ ইটভাটা বন্ধের দাবিতে ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রধান সহ প্রায় দেড় শতাধিক এলাকাবাসি গণস্বাক্ষর করে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের বরাবরে আবেদন করেছে। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক বরাবরে এলাকাবাসির আবেদনের সূত্র ধরে সরেজমিনে দেখা যায়, জেএমকে ইট ভাটায় আগুন দিয়ে ইট পুড়ানোর কাজ চলছে। আর তার পাশেই ফোর স্টার নামে আরও একটি ইটভাটায় আগুন দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানাযায়, জেএমকে ইটভাটার বৈধ কোন অনুমোদন সহ পরিবেশের ছাড়পত্র নেই। প্রশাসন জেএমকে ইটভাটার হাফ ৫০০ মিটারের মধ্যে ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ইটভাটাটির ৫০ মিটার থেকে আবাসিক এলাকার শুরু। বর্তমানে ইটভাটার ইট পুরানো কাজ শুরু হওয়ায় ট্রাক্টরের ধূলাবালি ও ভাটার ধোয়ায় অতিষ্ঠ্য এলাকাবাসি। ইটভাটাটির মালিক এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করে দাপটের সাথে ভাটাটি পরিচালনা করে আসছেন প্রায় ১ যুগ থেকে। জেএমকে ইটভাটাটি গত বছরে বন্ধ করার কথা থাকলেও বন্ধ করেনি ভাটার মালিক মাহাতাব উদ্দীন। নেই কোন অনুমতি ছাড়া অবৈধ ভাবে ইটভাটাটি চললেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এ কারণে এলাকাবাসি ক্ষোভ চরমে পৌছেছে। মহেষপুর এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য নুর আলম বলেন, জেএমকে ইটভাটার পাশে বাড়ি হওয়ার কারণে দীর্ঘদিন থেকে ভাটাটির ধূলো আর ধূয়ার কারণে জীবস অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। এ কারণে আশপাশের ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান সহ এলাকার দেড় শতাধিক মানুষ ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক বরাবরে ভাটাটি বন্ধের দাবিতে গত ১৮ ডিমেম্বর আবেদন করেছি। ইটভাটাটি প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কি ভাবে চলছে কিছুই বুঝতে পারছি না। কি ভাবে অবৈধ ভাবে জেএমকে ইটভাটা চলছে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন কোন উত্তর দিতে পারেনি। আমরা চাই প্রশাসন এলাকাবাসির কথা চিন্তা করে দ্রুত সময়ে পদক্ষেপ নিবেন। ঐ এলাকার নজরুল, তমাল, রহিম, হাসিবুল, আরমান বলেন, এলাকার মানুষ দিন দিন নানা রোগে ভুগছেন। বিশেষ করে শিশুদের রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃদ্ধরা স্বাসকষ্ঠ সহ হাপানি রোগে ভুগছে। ধূলাবালির কারণে পড়নের ও বাড়ির কাপড় নোংড়া হয়ে যাচ্ছে। আমরা কি অবস্থায় আছি অন্যরা না দেখলে বুঝবে না। এ কারণে ডিসি অফিসে জেএমকে ইটভাটা বন্ধের জন্য অবেদন করেছি। প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে আমরা কঠোর আন্দলনে যাব। ইটভাটাটির অনুমোন বা পরিবেশের ছাড়পত্র আছে কিনা জানতে চাইলে জেএমকে ইটভাটার মালিক মাহাতাব উদ্দীন বলেন, ভাটাটি কয়েকজন মিলে চালাচ্ছি তাদের কাছে খবর নিয়ে জানাতে পারব কাগজের কি অবস্থা। তাছাড়া আমরটা অবৈধ হলে পাশেরটিও অবৈধ। তারা চলছে আমরাও চলছি। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) আসাদুল ইসলাম বলেন, জেএমকে ইটভাটার বৈধ কোন কাগজপত্রের নথি জমা নেই। এলাকাবাসির আবেদনটি সংশ্লিষ্ট উপজেলায় পাঠানো হবে। উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মহোদয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।