ফরিদপুরের কোতয়ালী থানার চাঞ্চল্যকর আসাদুজ্জামান নুর ওরফে তুরাগ হত্যাকান্ডের মুল রসহস্য উন্মোচন হয়েছে বলে দাবী পুলিশের। এ ঘটনায় এজাহার নামীয় সাত আসামীর মধ্যে গ্রেফতার হওয়া চার আসামীর দেয়া স্বিকারোক্তি ও হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত আলামত জব্দের পর রোববার সকালে সাংবাদিক সম্মেলনে এ দাবী করেন পুলিশ। ফরিদপুর জেলা পুলিশ সুপারের কাযালয়ে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান জানান, মাদক ব্যবসার ভাগাভাগি আর কর্তৃত্ব নিয়ে দ্বন্ধের জেরেই তুরাগকে হত্যা করেন তারই সহযোগীরা। তিনি জানান এলাকায় মাদক ব্যবসার কর্তৃত্ব নিয়ে কানা তুষার গ্রুপের সাথে তুরাগের কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসতেছিলো। চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে গাজা ক্রয়ের জের ধরে তুরাগ কানা তুষারকে কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনার জের ধরে পরবর্তীতে কানা তুষার গ্রুপ পরিকল্পনা করে তুরাগের সাথে পুনরায় সম্পর্ক স্থাপন করে গত ১০ অক্টোবর কৌশলে তুরাগকে গোবিন্দপুরের একটি কলাবাগানে নিয়ে যায় কানা তুষার গ্রুপের সাতজন। পরে সেখানে সবাই মিলে ইয়াবা সেবন করার পর তারা সবাই মিলে তুরাগকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হাত কেটে নিয়ে যায়। পরে তুরাগের মৃত্যু হয়। তিনি জানান, এ ঘটনায় নিহতের পিতা আলাউদ্দিন হাওলাদার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে পুলিশ ১৭ অক্টোবর আক্কাস জমাদ্দার ও ০৬ নভেম্বর টিপু খা নামের এক আসামীকে গ্রেফতার করে। পরে টিপু খা’র স্বিকারোক্তিমোতাবেক ১৮ নভেম্বর রাতে প্রথমে জুয়েল শেখকে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ থেকে আটক করে এবং তার স্বিকারোক্তি মোতাবেক ১৯ নভেম্বর প্রথম রাতের (ভোর রাতের আগে) মো. রাজন ওরফে কালা রাজন ও ও মো. সাজনকে গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেয়া স্বিকারোক্তি মতে ফরিদপুরের কোতয়ালী থানার ভাষানচর গ্রামের পলাতক আসামী শাহিন শেখের ঘর থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দুটি রামদা জব্দ করে। দুপুরে আসামীদের আদালতে উপস্থাপন করা হয়।