বাড়ির সামনে নির্মাণ করা হয়েছে গেট। বরযাত্রী খাওয়ানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে প্যান্ডেল। সকাল থেকে চলছে বাবুর্চিদলের রান্নার কাজ। দেখে বুঝার উপায় নেই এটা একটি বাল্য বিয়ের বিশাল আয়োজন চলছে। তাও আবার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ে। তার বয়স হবে সর্বোচ্চ ১৩ বছর। তবে সবাই যখন বরযাত্রী আসার অপেক্ষায় ঠিক তখন বিয়ে বাড়িতে হাজির হন ভ্রাম্যমান আদালত। আর তাতেই ভেস্তে যায় বাল্য বিয়ের আয়োজন। বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঘটনাটি ফরিদপুরের সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের রাহুতপাড়া গ্রামে ঘটে। জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাহুতপাড়া গ্রামের হাসান মীর তার সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের বিয়ের আয়োজন করেন। খবর পেয়ে ওই বাড়িতে হাজির হয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহাদত হোসেন। তিনি বলেন, রাহুতপাড়া গ্রামে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্য বিয়ের আয়োজন চলছিল। খবর পেয়ে সালথা থানা পুলিশের একটি টিম নিয়ে ওই বাড়িতে গেলে পরিবারের পক্ষ থেকে কনের একটি জন্মসনদ দেখানো হয়। সেখানে কনের বয়স ১৮ বছর বেশি। তিনি আরও বলেন, তবে কনের বড় বোনের জন্মসনদ ঘেটে দেখা যায় তাদের দুই বোনের বয়সের পার্থক্য মাত্র তিন মাস। এতে ধারনা করা হয় জন্মসনদের কাগজ হয় ভুয়া, নয়তো তথ্য গোপন রেখে জন্মসনদ করা হয়েছে। পরে উপযুক্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দেবে না মর্মে কনের বাবার মুচলেকা নিয়ে বিয়ের আয়োজন বন্ধ করা হয়।