সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার সরুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল হাইকে কয়েকজন ইউপি সদস্য বার বার বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করছে। ভুক্তভোগী শেখ আব্দুল হাই পাটকেলঘাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও দৈনিক সংবাদ, দৈনিক পূর্বাঞ্চল পত্রিকার পাটকেলঘাটা থানা প্রতিনিধি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তিনি জানান আমি গত ইউপি নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে বিগত ২০২১ সালে ১লা নভেম্বর দায়িত্বভার গ্রহনের পর থেকে এই ইউনিয়নের কয়েকজন নামধারী আওয়ামীলীগ নেতা বি.এন.পি জামাত সমর্থিত ইউপি সদস্যদের বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে ইতিপূর্বে বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। যে অভিযোগ গুলো সংশ্লিষ্ট দপ্ত তদন্ত করে কোন সত্যতা পায়নি। সম্প্রতি ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শেখ মাসুদ রানা। জামসেদ, নাজিম উদ্দীনসহ কয়েকজন সদস্য, আমার বিভিন্ন সরকার প্রদত্ত উন্নয়ন মূলক কাজে ইস্বান্বিত হয়ে আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে হয়রানী করার পায়তারা করে চলেছে এবং আমাকে বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ সহ হত্যার হুমকি প্রদান করছে। আমার এই ইউনিয়নে যতপ্রকার সরকারী বরাদ্দ ও উন্নয়নমূলক কাজ আসে সে কাজগুলো সকল সদস্যদের সমান ভাগ করে দেই। তারা সেই কাজগুলো সঠিক ভাবে না করে টাকা আত্মসাৎ করে। আমি মাঝে মাঝে তাদের কাজের তদারকি করার কারনে একটি স্বার্থন্বেষী মহহলদের সাথে নিয়ে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম চক্রান্ত চালিয়ে যা”েছ। অথচ ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার আগে এই সকল সদস্যদের কারো বাড়ির চালে ছিল পলিথিন ও বসত ঘর ছিল জরাজীর্ণ। এখন তাদের প্রত্যেকে দামি মটর সাইকেল ও ছাদের পাকা বাড়িতে বসবাসকরে। সংরক্ষিত ৭, ৮, ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য রাফেসা খাতুন ও ৪, ৫, ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য তাসলিমা খাতুন জানায় আমরা জোর গলায় বলতে পারি আমাদের এই চেয়ারম্যান সাহেব যে ভাবে সকল সরকারী বরাদ্দ ও কাজ নিজে না করে নিজের হাতে না রেখে সকল সদস্যদের মধ্যে বন্টনকরেছে জেলার অন্য কোন ইউনিয়নে তা হয়নি। নাম প্রকাশে অনি”ছুক বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী জানায় বাজারে দুই একটি রাস্তাঘাট খারাপ থাকলেও কয়েকটি সড়কের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। চেয়ারম্যান আব্দুল হাই ক্ষমতা গ্রহণের পর বাজারের ব্যবসায়ী পরিবেশ অনেক ভালো। কিš‘ একটি কুচক্রী মহলের রোসানলে পড়ে তার সামাজিক ভাবে হেও প্রতিপন্ন করছে তার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভুক্তভোগী ইউপি চেয়ারম্যান উক্ত ইউপি সদস্যদের হয়রানীর হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য শেখ মাসুদ রানা ও জামসেদের সাথে ঘটনা সম্পর্কে জানার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে গেলে তাদের পাওয়া যায়নি।