ড. ইউনুসের পক্ষে ওকালতি করা স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার উপর নগ্ন হস্তক্ষেপ বলে বাংলাদেশের শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ মনে করে। আজ শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির এক সভা সেগুনবাগিচাস্থ স্বাধীনতা হলে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রমিক নেতা শাজাহান খান এমপি। সভায় বক্তব্য রাখেন সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব শ্রমিক নেতা আলাউদ্দিন মিয়া, আবুল হোসাইন, জেড এম কামরুল আনাম, নুরুল ইসলাম, মজিবুর রহমান, গিয়াস উদ্দিন, মোকলেসুর রহমান, জয়নাল আবেদীন প্রমুখ। সভায় বলা হয়, ড. মোহাম্মদ ইউনুস নোবেল বিজয়ীর মধ্যদিয়ে বিদেশে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছিল এবং তিনি একজন সম্মানী ব্যক্তির সাথে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছিল। কিন্তু তিনি নিজেই সেই সম্মান রক্ষা করতে পারেনি। তিনি কিছু বিতর্কিত করা কাজের মাধ্যমেই নিজেকে বিতর্কিত করেছেন, অসম্মানিত করেছেন। এটা তার জন্য লজ্জাকর, দেশের জন্য লজ্জাকর। সম্প্রতি ড. মোহাম্মদ ইউনুসের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ কমিউনিকেশন ও গ্রামীণ কল্যাণ প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান থেকে শত শত শ্রমিককে বে-আইনীভাবে চাকুরীচ্যুত করেছেন এবং অসংখ্য শ্রমিকের বেতন-ভাতা বন্ধ রেখেছেন। সংক্ষুব্ধ শ্রমিকরা আইনী আশ্রয় নিয়ে শ্রম আদালতে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলা ড. ইউনুসকে অভিযুক্ত করা হয় এবং মামলায় বলা হয় বে-আইনীভাবে চাকুরীচ্যুত শ্রমিকদের পুনর্বহাল এবং ক্ষতিপূরণবাবদ ৪৩৭ কোটি টাকা প্রদানের আদেশ প্রদান করেন। এতে ড. ইউনুস সেই আদেশও অমান্য করে। অবশেষে শ্রমিকদের পক্ষে কল-কারখানা কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা দায়ের করেন এবং আদালত তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করে। অবশেষে ড. ইউনুস আদালতে আত্মসমর্পন করে এবং শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেয়। এই সমস্ত কার্যকলাপের মাধ্যমে ড. ইউনুস দেশে-বিদেশে বিতর্কিত হয়েছেন। ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, ড. ইউনুস ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বর্বরোচিত গণহত্যার নিন্দা করেননি। একইভাবে তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার নিন্দা, ২১ আগস্ট হত্যার প্রতিবাদ এবং ১৭ আগস্ট সারাদেশে জঙ্গী হামলার প্রতিবাদ থেকে বিরত থেকেছেন। তার বিরুদ্ধে এমন আরো অভিযোগ উঠেছেন যে, তিনি তার প্রতিষ্ঠান কখনও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেননি এবং তিনি জীবনে কখনও শহিদ মিনার, জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও শহিদ বুদ্ধিজীবী মাজারে শ্রদ্ধাজ্ঞ অর্পন করেন না। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে দেশপ্রেমের প্রশ্ন উঠেছে। এ ব্যাপারে দেশবাসী ড. ইউনুসের কাছে জানতে চান তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী কি না। সভা আশা করে ড. ইউনুস এ ব্যাপারে তার মতামত গণমাধ্যমে প্রকাশ করবেন।