আদালতের নির্দেশ অমান্য করে নোয়াখালীতে বেগমগঞ্জ উপজেলার মিরওয়ারিশপুর মজুমদার হাট আতিক উল্যা মিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ, ভাংচুর ও হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শনিবার দুপুরে নোয়াখালী টিভি সাংবাদিক ফোরাম কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভোক্তভোগী আতিক উল্যা মিয়া জানান, দীর্ঘদিন থেকে তিনি সড়ক ও জনপদ বিভাগের উক্ত জায়গায় স-মিল স্থাপন করে ব্যবসা করে আসছেন। একটি কুচক্রী মহল তাকে উক্ত সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদের পায়তারা করে আসছিলো। এ নিয়ে স্থানীয় শাহজাহানদের বিরুদ্ধে আতিক উল্যা মিয়ার আদালতে মামলা করলে আদালত আপত্তি শুনানী না হওয়া পর্যন্ত বিবাদী পক্ষকে উক্ত ভূমিতে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। কিন্তু বিবাদী পক্ষ প্রশাসনের লোকজনকে ভূল বুঝিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার ও আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বৃহস্পতিবার বিকালে বুলডোজার দিয়ে আতিক উল্যা মিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ স-মিল ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। এ সময় তিনি আদালতের নির্দেশের কাগজপত্র দেখালেও প্রশাসনের লোকজন তা কর্নপাত করেননি। তবে যে কোন উচ্ছেদ অভিযানের আগে নোর্টিশ দেওয়ার কথা থাকলেও আতিক উল্যা মিয়া কোন নোর্টিশ পাননি। তাছাড়া ওই বাজারে সড়কের দুই পাশে শতাধিক দোকান থাকলেও সেগুলোতে অভিযান চালানো হয়নি বলে অভিযোগ করেন আতিক উল্যা মিয়া। একটি মাত্র প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো রহস্যজনক মনে করছেন তিনি। এই উচ্ছেদ ও ভাংচুরের কারণে ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে দাবী করেন ক্ষতিগ্রস্ত আতিক উল্যা মিয়া। তিনি প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে ন্যায় বিচার দাবী করেছেন। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত আতিক উল্যা মিয়ার পরিবারের সদস্যরা ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে নোয়াখালী সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: শাকিরুল ইসলামের সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, আমরা সড়ক বিভাগের জায়গায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছি। উচ্ছেদ অভিযানের আগে আমরা নিয়ম মতে একাধিক নেটির্শ দিয়েছি। এরপরও কেউ যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমাদের কিছু করার নেই। আদালতের আদেশ অমান্য করার বিষয়ে তিনি বলেন, আদালতের আদেশের বিষয়টি আমাদের জানা নেই। আমাদেরকে কাগজপত্র দেখালে হয়তো বুঝতে পারতাম। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওই এলাকায় অন্য কেউ সড়ক বিভাগের জায়গা দখল করে থাকে তাদেরও উচ্ছেদ করা হবে। এটি আমাদের চলমান প্রক্রিয়া।