ফরিদপুরের মধুখালীর বিভিন্ন হাটে রোপা আমনের চারা সংগ্রহ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা। উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় গত মৌসুমের তুলনায় চলতি বছর রোপা আমন রোপনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভবনার আশা করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। উপজেলার সবচেয়ে বড় দুটি হাট মধুখালী সদর ও কামারখালী হাটে চারা সংগ্রহ করতে ভিড় পড়ে গেছে কৃষকদের। কামারখালী হাটে এক বোঝা চারা ক্রয় করছেন কৃষকরা ২’শ ৫০ টাকা থেকে ৫’শ টাকায়। আর খাজনা আদায় করছেন প্রতি বোঝা ২০ টাকা করে। কামারখালী হাটে চারা বিক্রেতা আয়নাল শেখ বলেন হাটে চারার আমদানীও ব্যাপক। আমদানি থাকলেও ক্রেতা সে তুলনায় কম। চারার দামও কম। এই মৌসুমে এ এলাকায় বৃষ্টি কম হওয়ায় পাট কাটতে দেরি হয়েছে। এখনো অনেক জমিতে পাট থাকায় চাষিরা ধীরে ধীরে চারা রোপন করেছে। মধুখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলভির রহমান জানান, রোপা আমনের বিরি-৮৭,৩৭,৭৫, বিনা-৭ সহ কয়েক জাতের ধানের চারা সাধারণত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত আবাদ করা হয়ে থাকে। আগাম ভাসমান চারাসহ বিভিন্ন উপায়ে আগষ্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত ৫হাজার ৬’শ হেক্টর জমিতে ইতিমধ্যে রোপা আমনের চারা রোপন করে ফেলেছে। সেপ্টেম্বর (ভাদ্র মাস) ধরে রোপা আমনের চারা রোপন করতে পারবে। চলতি বছর উপজেলায় একটি পৌরসভা ও এগারটি ইউনিয়নে রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮হাজার ৬৯০হেক্টর জমিতে। গত মৌসুমে উপজেলায় মোট রোপা আবাদ করা হয়েছিল ৮হাজার ৬৪০ হেক্টর জমিতে। এ মাসধরে চারা রোপনের সুযোগ থাকায় এবং এখন বৃষ্টিপাত হওয়ায় চারা রোপনে লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবার আশা করছেন কৃষি বিভাগ।