নাটোরে মাঠের জমি দখল করতে গিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ ১১জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার গৌরিপুরের এঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে এদের মধ্যে আতিকুল ও কাউসার আলীকে রামেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পুলিশ ও গ্রামবাসি সুত্রে জানা যায়, নাটোর সদর উপজেলার হালসা এলাকার গৌরিপুর গ্রামের মৃত্য বাহাজ উদ্দিন এবং কছের মুন্সির সাথে আওরাইল মৌজায় সিএস খতিয়ান ভুক্ত ৬৫ শতক জায়গার মধ্যে ৩৩ শতক মাঠের জমির মালিকানা নিয়ে রিবোধ চলছিল। হঠাৎ গত আড়াই-তিন মাস পূর্বে কছের মুন্সি (৭০) ও তার চার ছেলেরা মিলে একই গ্রামের বাহাজ উদ্দিনের ছেলে মতিউর রহমান (৫০) ও মোস্তফা (৪৫) ভোগদখলকৃত আবাদি জমিতে সবজি (ফসল) বিনষ্ট করে জবর দখল করতে যায়, প্রতিপক্ষ ইউনুস, ইউসুব,মুছা, মোখলেসহ তার স্বজনরা। এব্যাপারে প্রতিকারের জন্য ওই সময় ওই গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক মোস্তফা নাটোরর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। পরে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। আহত মোস্তফার স্ত্রী জানান, ফাহিমা বেগম জানান,তার শশুর মরহুম বাহাজ উদ্দিন বাব-দাদার আমল থেকে জমিটিতে চাষ-আবাদ করে ভোগ করে আসছে। চলতি বছরে হঠাৎ ওই জমি তাদের বলে দাবী করে আদালতে গিয়ে সাময়িক ভাবে নিষেধাজ্ঞা আনে প্রতিপক্ষরা। পরবর্তী শুনানীতে নিষেধাজ্ঞাটি বাতিল হওয়ার পরে কিছু দিন আগে ধান লাগানোর জন্য জমিটি চাষ করেন তার স্বামী-সন্তান। সেই জমিতে মঙ্গলবার সকালে প্রতিপক্ষের লোকজন জোরপূর্বক জমিতে ধান লাগাতে যায়। তাতে বাঁধা নিষেধ করায় তার স্বামীÑসন্তান এবং তার ভাশুর ও স্ত্রী-সন্তানকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করায় তাদের ৬জন লোক আহত হইছে। দুইজনকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো লাগছে। অপরদিকে অভিযুক্ত ইউনুস আলী জানান, ওই জমি তাদের তারা জাল দলিল করে ভোগ করছে। আমরা এজন্য আদালতে মামলা করেছি। উকিল বলেছেন,এক দখল আর সাত ডিগ্রীর সমান। তাদের জমিতে ওই পক্ষের লোকজন চাষ কদিন আগে চাষ দিছে। আজ সেই জমিতে ধান লাগাতে গেলে তারাই আমাদের উপর আক্রমন করেছে । তিনিসহ তার বোন এবং ভাই মিলে ৫জন আহত হইছে। নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে জরুরী বিভাগের ডাঃ আসমত আলী জানান, সদর উপজেলার গৌরিপুর থেকে সকালে ১২ জন মারামারির রুগী হাসপাতালে আসছেন, এর মধ্যে ৫ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে এবং দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রামেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান,জমি সংক্রান্ত মারামারি বিষয়টি খবর পাওয়ার পর পাসপাতাল এবং ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠিয়েছেন। পুলিশ আহতদের তথ্য এবং ছবি সংগ্রহ করছেন, বিষয়টি আমলে নিয়ে আইনগত ভাবে ব্যবস্থ নিবেন।