র্যাব ফোর্সেস প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, জনমানুষের নিরাপত্তা বিধান ও সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে প্রশংসীয় ভূমিকা পালন করে আসছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় জনগণের আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক হিসেবে এ বাহিনী মাদক, অস্ত্র, জঙ্গিসহ বিভিন্ন ধরণের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে ইতোমধ্যে জনমনে সুদৃঢ় অবস্থান তৈরিতে সক্ষম হয়েছে। অপরাধ দমনে র্যাব শুধু আভিযানিক প্রক্রিয়ায় সীমাবদ্ধ থাকেনি। ইতিপূর্বে যে সকল জঙ্গি ও জলদস্যুরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে অন্ধকার জীবন থেকে ফিরে আসতে চেয়েছে তাদের আত্মসমর্পণ, পুনর্বাসন ও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ করে দিয়েছে র্যাব। চরমপন্থীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে ২০২০ সাল হতে র্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরের নির্দেশনায় র্যাব-১২ কার্যক্রম শুরু করে। প্রাথমিকভাবে র্যাব চরমপন্থীদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে এবং চরমপন্থীদের পরিবারের সদস্যদেরকে হস্তশিল্প সহ বিভিন্ন কর্মমুখী প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে তাদের স্বাবলম্বী করার ব্যবস্থা করে। র্যাবের সময়োপযোগী এ সকল উদ্যোগ গ্রহণের ফলে চরমপন্থী পরিবারের সদস্যরা অনুপ্রাণিত হয় এবং বিভিন্ন চরমপন্থী দলে থাকা সদস্যদেরকে তাদের পরিবারের পক্ষ হতে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করতে থাকে। পরবর্তীতে র্যাব ফোর্সেস চরমপন্থীদের পরিবারের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধন করে চরমপন্থীদেরকে আত্মসমর্পণ করতে উৎসাহী করে এবং সরকারের পক্ষ হতে সহযোগিতার মাধ্যমে তাদেরকে পুনর্বাসন, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাকরণ এবং প্রয়োজনীয় আইনী সহায়তা প্রদানের ব্যাপারে আশ্বস্থ করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০ আগষ্ট ২০২৩ তারিখ র্যাব-১২ এর ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে মোঃ মারুফ হোসেন পিপিএম, অধিনায়ক র্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ আগত উপস্থিত সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধিদের আত্মসমর্পণকৃত চরমপন্থী সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদেরকে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল করার জন্য বিভিন্ন কর্মমুখী প্রশিক্ষণ প্রদানসহ সরকার কর্তৃক প্রয়োজনীয় সহযোগিতার মাধ্যমে সমাজে স্বাভাবিক পেশায় পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা তুলে ধরেন। আত্মসমর্পণকৃত চরমপন্থীরা যেন পুনরায় তাদের পুরনো পেশায় ফিরে না যায় এবং নতুন করে কোন অপরাধে না জড়ায় সে ব্যাপারে তাদের উপর র্যাবের নজরদারী অব্যাহত থাকবে।