একুশে আগস্টের ভয়াল গ্রেনেড হামলার বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা বারবার বলে এসেছি যে, একটা নিরপেক্ষ সুষ্ঠু তদন্ত হোক। সেই নিরপেক্ষ তদন্ত করা হয়নি। আমরা ২১ আগস্টের ঘটনাকে কনডেম করি। এটা ডেফিনেটলি বাংলাদেশের রাজনীততে অন্যতম জঘন্য একটি ঘটনা এবং কনডেনেবল।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, কিন্তু একই সঙ্গে সমগ্র মানুষের যে প্রত্যাশা সেটা হচ্ছে যে, এটা অযথা শুধু রাজনৈতিক কারণে রাজনৈতিক নেতাদের নাম দিয়ে সেখানে রাজনৈতিক ফায়দা লুটা হচ্ছে, এটা কেউ সমর্থন করতে পারে না।
‘আমরা আবারও বলছি, তারেক রহমান সাহেব, বিএনপির আবদুস সালাম পিন্টু বা লুৎফুজ্জামান বাবর তারা কেউ এটার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না, রাজনৈতিক কারণে তাদের জড়িত করা হয়েছে।’
আগামী ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি ঠিক করতে দল ও অঙ্গসংগঠনকে নিয়ে যৌথ সভায় বসেন বিএনপি মহাসচিব। পরে তিনি সংবাদ সম্মেলনে আসেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মজিবুর রহমান সারোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, দলের নেতা মীর সরাফত আলী সপু, মনির হোসেন, আবদুস সাত্তার পাটোয়ারি ছিলেন।
অঙ্গসংগঠনের নেতাদের মধ্যে যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানি, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, হেলেন জেরিন খান, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, উলামা দলের শাহ নেসারুল হক, জাসাসের হেলাল খান, জাকির হোসেন রোকন, মৎস্যজীবী দলের আব্দুর রহিম, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মজিবুর রহমান, শ্রমিক দলের মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, ছাত্রদলের রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রমুখ ছিলেন।