নরসিংদী সদর মডেল থানার ডিউটি অফিসার আদনানের হামলাকারীকে তিনদিন পর আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (১৯ আগস্ট) গভীর রাতে পৌর এলাকার বিলসদী আল্লাহু চত্তর এলাকা থেকে হামলাকারী সাইফুলকে আটক করা হয়। সে নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালি গ্রামের পশ্চিমপাড়ার মৃত হারুন মিয়ার ছেলে। তার নামে সদর মডেল থানায় মাদক সংক্রান্ত একাধিক ও মারামারি সংক্রান্ত একটি মামলা ছাড়াও প্রতিশোধ পরায়ণ মূলক অপরাধের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে তিনটি সাধারণ ডায়েরি রয়েছে।সাইফুল এর আগে রাজধানীতে ডিএমপি পুলিশের হাতে ও সদর থানা পুলিশের হাতে আটক হওয়ার রেকর্ড রয়েছে। এমন একজন দাগি চিহ্নিত অপরাধী পরপর দুই দিন ধরে পুলিশের দুই জন সদস্যকে মারাত্মভাবে আহত করে আবার সদর থানা এলাকায় ঘুরাঘুরি করার ফলে এ নিয়ে জনমেন নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।নরসিংদী সদর থানার ওসি আবুল কাশেম ভুঞা তাকে চিহ্নিত অপরাধী আখ্যায়ীত করে বলেন, তার চালচুলা নেই। নেই মোবাইল নম্বরও। সে কারণে তাকে খঁজে বের করতে একটু সময় লেগেছে। হামলার পর নাম প্রকাশে অনি”ছুক সদর থানায় কর্মরত পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য বলেছিলেন হামলাকারী মাদকাসক্ত ও পাগল। কিš‘ ওসি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন সে পাগল নয়। পুলিশের উপর হামলার অবশ্যই সুনির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। এখন ঘটা করে তা বলা যাবে না বলে জানান তিনি। এ ঘটনায় মামলা হওয়ার কথা শিকার করে পুলিশে এই কর্মকর্তা আরো বলেন, আহত আদনানের অবস্থা আজ অনেকটা ভালো।পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে এব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা খুবই গুরত্ব সহকারে দেখছি। আটককৃত অপরাধীকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। প্রয়োজন হলে আমরা তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে এর মূল রহস্য উৎঘাটন করবো। এঘটনার সাথে কোনো নাশকতার আলামত রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, আমরা সবকিছু মাথায় নিয়েই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। আশাকরি খুব শিগগিরই আপনাদেরকে বিস্তারিত জানাতে পারবো।উল্লেখ্য আটককৃত হামলাকারী সাইফুল গত বুধবার ঢিল ছোড়ে সদর থানার আবদুল্লাহ নামে পুলিশের এক অপারেটরকে লক্ষ করে। এতে করে পুলিশের এই সদস্যের মাথা ফেটে যায়। ঠিক এর পর দিন বৃহস্পতিবার রাত পোনে একটার সময় ডিউটিরত পুলিশের এসআই আদনান রহমানকে থানার সামনে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়। গুরতর আহত এসআই আদনাকে প্রথমে সদর হাসপাতালে ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়। তিনদিন আইসিসিউতে ছিলেন আদনান। আজ তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছে তার স্বজনরা।