ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী বাজারে চোরের দল বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বাজারে একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটেছে। বাজারে পাহারাদার ও সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়েও চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে স্থানীয় বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি ও ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার না পেয়ে আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। বুধবার (১৬ই) আগস্ট-২৩ ইং তারিখ দিবাগত গভীর রাতে চালের টিন খুলে কামারখালী বাজার বণিক সমিতির যুগ্নঃ সাধারন সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফ এর কামারখালী বাজার মেসার্স আরিফুল ইসলাম এর সারের দোকান-ঘরে চালের টিন খুলে চুরির ঘটনা ঘটে। চোর দোকানে ঢুকে দোকানের ড্রয়ের তালা খুলে প্রচুর নগদ টাকা নিয়ে যায়। তবে টাকার সঠিক হিসাব জানা যায়নি। তবে এর আগে আরেকবার চুরি হয়েছিল গত জুলাই-২৩ইং মাসে। এ সময়ও জানা যায় প্রায় ৭২০০০(বাহাত্তর )হাজার টাকা নিয়ে যায়। দোকানের মালিক এর সাথে কথা বলে জানা যায় প্রতিদিনের ন্যায় বৃহস্পতিবার সকালে দোকানের কর্মচারী ঘর খোলার পর চেয়ারে বসে ড্রয়ার খুলার সময় দেখা যায় ড্রয়ার ভাঙ্গা ড্রয়ারে রাখা নগদ টাকা নাই। এতে ব্যবসায়ীদের বারবার এভাবে চুরির ঘটনা ঘটতে থাকায় ব্যবসায়ীদের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মতো ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান। রাতের কোনো এক সময় সংঘবদ্ধ চোরের দল পরিকল্পিতভাবে দোকানে চালার টিন কেটে ঢুকে নগদ টাকা সহ অন্যান্য মালামার চুরি করে নিয়ে যায় তারা। একইভাবে গত ১ মাস আগে মেসার্স আরিফুল ইসলাম ট্রেডার্স এর ঘরের চালার টিন খুলে একই সারের দোকানে চোর ঢুকে কিছু নগদ টাকা নিয়ে যায়। চুরি যাওয়া মালামাল ও নগদ টাকা উদ্ধার করতে পারিনি কেহ । এছাড়াও বাজারে আরো কয়েকটি দোকান-ঘরে চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জানান স্থানীয়রা। ব্যবসায়ীরা জানান, একের পর এক চুরি হতে থাকলেও চোরের দলকে ঠেকানো যাচ্ছে না। সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেও কোনো ফল আসছে না। তাই সচেতন নাগরিকের মতামত চুরির ঘটনা ঠেকাতে মনে হয় রাতে যার যার ঘর সেই সেই পাহাড়া দিলে আর পুলিশ প্রশাসন সহযোগীতা করলে চোরের দোকান চুরির হাত থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন। মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, চুরি হওয়া মালামাল ও চোরের দলকে আটক করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।