নওগাঁর রাণীনগরে ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে গিয়ে রাজ্জাক আলী (৩৮) নামে এক সেবা প্রত্যাশীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য মমতাজ প্রামানিকের বিরুদ্ধে। বুধবার উপজেলার মিরাট ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ মারধরের ঘটনাটি ঘটে। খবর পয়ে পরিবারের লোকজন আহত রাজ্জাককে চিকিৎসার জন্য রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সেবা প্রত্যাশী রাজ্জাক ওই ইউনিয়নের হরিশপুর গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় তার বোন মরিয়ম বেগম বাদি হয়ে বিকালে মিরাট ইউপির ৯ নম্বর ওর্য়াডের সদস্য মমতাজ প্রামানিকের বিরুদ্ধে রাণীনগর থানায় এবং ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে জানা গেছে, ওয়ারিশন সনদ নেওয়ার জন্য দুপুরে মিরাট ইউনিয়ন পরিষদের যান রাজ্জাক। পরিষদে চেয়ারম্যান না থাকা রাজ্জাক পরিষদ কার্যালয়ের একটি কক্ষে বসে ছিলেন। এ সময় ইউপি সদস্য মমতাজ প্রামানিক সেখানে যান এবং তাকে পরিষদে দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এক পর্যায়ে দু’জনের মধ্যে রাজ্জাকের পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে পরিষদ কার্যালয়ের কক্ষেই রাজ্জাককে কিল-ঘুসি মেরে মারধর করে আহত করেন। সেবা প্রত্যাশী রাজ্জাক আলী জানান, মেম্বার মমতাজের স্বাক্ষর না নিয়ে পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে ওয়ারিশন সনদ নিতে যাওয়ায় মেম্বার আমার উপর ক্ষিপ্ত হন। এ সময় পরিষদের কক্ষে আমার পারিবারিক বিষয় নিয়ে মেম্বার আমার সঙ্গে তর্কে জড়ান। এক পর্যায়ে তিনি আমাকে বেধম মারধর করে আহত করে। এ ঘটনায় আমি মেম্বারের শাস্তি দাবি করছি। রাজ্জাকের বোন মরিয়ম বেগম জানান, একজন মেম্বারের এমন আচরণ মেনে নেওয়ার মত নয়। আমার ভাইকে যেভাবে মারধর করেছে এমন ঘটনা যেন আর কারো সাথে না ঘটে এ জন্য তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইউএনও এবং থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য মমতাজ প্রামানিক বলেন, রাজ্জাক আমার সঙ্গে তার পারিবারিক বিষয় নিয়ে পরিষদে তর্কে জড়ায়। এ জন্য প্রতিবেশি ছোট ভাই হিসাবে তাকে একটা চর মেরেছি। আর আমার বিরুদ্ধে মারধরের যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সঠিক নয়। মিরাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেন, আমি ঘটনার সময় পরিষদে ছিলামনা। পরে জানতে পারি সদস্যের সঙ্গে রাজ্জাকের ঝামেলা হয়েছে। তারা নিজেরাই বিষয়টি মিমাংসা করেছে শুনলাম। এ বিষয়ে রাণীনগর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।