বাজারে ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আরও ৪৩ প্রতিষ্ঠানকে ১৯ কোটি ৩০ লাখ ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। তিন দফায় এ পর্যন্ত মোট ৬২ প্রতিষ্ঠানকে ২৭ কোটি ৮০ লাখ পিস ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হলো।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ ডিম আমদানির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমদানি-রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরকে চিঠি দিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বর্তমানে ডিমের বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় ও বাজারদর স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে সীমিত আকারে সীমিত সময়ের জন্য বর্ণিত প্রতিষ্ঠানগুলোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের উল্লেখিত পরিমাণে ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ আমদানির অনুমতির মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে।
এ দফায় অনুমতি দেওয়া হচ্ছে ৪৩টি প্রতিষ্ঠানকে। এ ডিম আমদানি করার ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত দেওয়া হয়েছে। এর প্রথমটি হলো: এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লুমুক্ত দেশ থেকে ডিম আমদানি করতে হবে।
দ্বিতীয়ত, আমদানি করা ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রপ্তানিকারক দেশের সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া মুক্ত সনদ দাখিল করতে হবে।
তৃতীয়ত, ডিম আমদানির প্রতিটি চালানের কমপক্ষে ১৫ দিন আগে সংশ্লিষ্ট সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তাকে জানাতে হবে।
চতুর্থত, আমদানির অনুমতি পাওয়ার পরে সাত দিন পর পর অগ্রগতি প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দাখিল করতে হবে। এর আগে গত মাসেও এক দফায় ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছিল সরকার।
এর আগে গত ৮ ও ২৩ অক্টোবর বাজারদর স্থিতিশীল রাখতে দুইবারে দেশের ১৯টি প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে আট কোটি পিস ডিম আমদানির অনুমতি দেয় সরকার।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে দেশে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ কোটি পিস ডিমের চাহিদা রয়েছে।