উত্তরাঞ্চলের শস্য ভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ধান ও রবি মৌসুমের ফসল আবাদ করে আশাতীত সাফল্য পেয়েছেন। বিশেষ করে, ধানের বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পেয়ে সংসারে সচ্ছলতা ফিরেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষক। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, বায়োটেকনোলজি বা জৈব প্রযুক্তি কৃষিতে বিপ্লব ঘটিয়েছে। কাক্সিক্ষত জাত উদ্ভাবন ও ফসলের ফলন বৃদ্ধিসহ কৃষির বিভিন্ন ক্ষেত্রে এ প্রযুক্তির গুরুত্ব অপরিসীম। তাছাড়া কৃষিতে প্রণোদনা, উপকরণ বিতরণ ও মাঠ পর্যায়ে সঠিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের। আবহাওয়াও অনুকূলে ছিল। ফলে চাষাবাদ করে কৃষকও লাভবান হচ্ছেন। চলতি বোরো মৌসুমের ধান ও রবি মৌসুমের ভুট্টারও বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। স্থানীয় কৃষক বলেন, আমনের মৌসুমে নতুন জাতের ব্রি ধান-৯০ চাষ করে প্রতি বিঘায় ১৮ মণ পর্যন্ত ফলন পেয়েছেন। প্রতিমণ ধান ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন। ধানের ভালো ফলন হওয়ায় ও আশানুরূপ দাম পাওয়ায় সংসারের অভাব অনটন কেটে গেছে। কুন্দইল গ্রামের কৃষক মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ৩০ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছি। ৮ মণ পর্যন্ত ফলন হয়েছে প্রতি বিঘায়। ব্যাপক চাহিদা থাকায় ব্যবসায়ীরা বাড়িতে এসেই সরিষা কিনে নিয়ে গেছে। সৈয়দপুর গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম, সোলায়মান হোসেন ও হাসিনুর রহমান বলেন, এ বছর বিঘায় ৩৫ থেকে ৪০ মণ রসুন পেয়েছি। প্রথম দিকে ১ মণ রসুন ৪ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। এখনো ৩ হাজার টাকা দাম পাওয়া যাচ্ছে। একই গ্রামের কৃষক খবির উদ্দীন, মোফাজ্জল হোসেন ও আব্দুল কুদ্দুস বলেন, গমের ফলনও ভালো হয়েছে। ৩ বিঘা জমিতে ৫০ মণ গম পেয়েছি। বর্তমানে গমের বাজার মূল্য ২ হাজার টাকা মণ। ভুট্টা চাষি নবীর উদ্দীন, শাহ জামাল, কসিম উদ্দীন বলেন, চলতি রবি মৌসুমে হাইব্রিড জাতের ভুট্টার আবাদ করেছেন। অন্যান্য ফসলের মতো ভুট্টারও বাম্পার ফলনের আশায় রয়েছেন তারা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে ২২ হাজার ৩৬০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। রবি মৌসুমের আবাদও বেড়েছে। আশা করা যাচ্ছে বোরো ধানেরও বাম্পার ফলন হবে।