সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে প্রতারণার অভিযোগে তানভীর আহমেদ নামের এক ‘ভুয়া এমবিবিএস’ ডাক্তারকে আটক করা হয়েছে। তার ভিজিটিং কার্ড ও ব্যবস্থাপত্রে এমবিবিএস, এফসিপিএস ও সিনিয়র প্রভাষক উল্লেখ ছিল। ডাক্তার পরিচয়ে তানভীর দীর্ঘদিন চিকিৎসা দিয়ে প্রতারণা করে আসছিলেন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকেলে তাকে আটক করে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আদালত পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুখময় সরকার। এ সময় তাকে সহযোগিতা করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোমেনা পারভীন পারুল। তানভীর আহমেদের বাড়ি ফরিদপুরের চৌধুরী হাটে। তিনি কাজীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিপরীতে দ্য যমুনা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এমবিবিএস পরিচয়ে বছরের বেশি সময় ধরে চিকিৎসা-ব্যবস্থাপত্র দিয়ে আসছিলেন। জানা গেছে, ওই ভুয়া ডাক্তারকে সন্দেহ হলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোমেনা পারভীন পারুল তার অফিসে ডেকে নেন। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে তানভীর আহমেদ ভুয়া প্রমাণিত হন। তার কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি এবং তিনি যে ভুয়া তা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছে স্বীকার করেন। এদিকে চিকিৎসা প্রদানকারী তানভীর আহমেদ ভিজিটিং কার্ডে ও ব্যবস্থাপত্রে লেখা ছিল এমবিবিএস (এসএসএমসি-ঢাকা), এফসিপিএস নিউরোমেডিসিন (এফপি-বিএসএমএমইউ, ঢাকা), মেডিসিন, নিউরোমেডিসিন, বাত-ব্যথা রোগের চিকিৎসক, প্রাক্তন কনসালট্যান্ট ঢাকা ইসলামি কমিউনিটি হাসপাতাল, কনসালট্যান্ট এশিয়ান হাসপাতাল, সিনিয়র প্রভাষক, জেএসএমসিএইচ-ঢাকা। বিএমডিসির একটি রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছিল। এ বিষয়ে কাজীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোমেনা পারভীন পারুল বলেন, ‘কিছুদিন আগে জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার একজনের মাধ্যমে ভুয়া ডাক্তারের নাম শুনি। পরে এখানে সাইনবোর্ড দেখে তাকে সন্দেহ হলে অফিসে ডেকে নিই। তাকে বিভিন্নভাবে জিজ্ঞাসা করলে তিনি ভুয়া প্রমাণিত হন।’ ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুখময় সরকার বলেন, ‘তানভীর আহমেদ নামের ওই চিকিৎসক আমাদের কাছে ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে। ভুয়া ডাক্তার পরিচয় দিয়ে তিনি দীর্ঘদিন রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে প্রতারণা করেছেন। তিনি অপরাধ করেছেন বলেই তাকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।’