বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় নবনির্মিত কদমতলী বাস টার্মিনালে ফাটলসহ বিভিন্ন ত্রুটি ধরা পড়েছে। বিষয়টি তদন্তে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন। আগামী ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে কমিটি। শনিবার বিকালে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টার্মিনালের পশ্চিম দিকের ভবনের একটি দেওয়ালের ওপরের অংশে ফাটল দেখা দিলে তা ঢেকে দিতে লোহার অ্যাংগল বসিয়ে দেওয়া হয়েছে নিপুণভাবে। এহেন কর্ম কারিগরি দিক থেকে টেকসই কি না, তা নিয়ে নগর জুড়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার বিকালে জরুরি ভিত্তিতে মেয়র আরিফুল হক চৌধূরী নগর ভবনে সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করেন। সংবাদ সম্মেলনে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান, সিলেটের ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিশেলে নির্মিত এই স্থাপনায় দেশের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন ও আধুনিক বাস টার্মিনালের একটি অংশে ত্রুটি ধরা পড়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে তা পরিদর্শন করেছি। এ নিয়ে জনমনে কোনো বিভ্রান্তি যেন না ছড়ায়, সে জন্য শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, এলজিইডি সিলেটের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, গণপূর্ত অধিদপ্তর সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী, সড়ক বিভাগ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী ও সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর সমন্বয়ে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এই তদন্ত কমিটি আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে। প্রতিবেদন পাওয়ার পরপরই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মেয়র বলেন, নির্মাণ সংস্থা এখনো এই প্রকল্প সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করেনি। সিলেট সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে এই প্রজেক্টের কাজ চলছে। টেকনিক্যাল টিম যেদিন রিপোর্ট জমা দেবে, সেদিন গণমাধ্যমকর্মীদের সামনেই তা পেশ করা হবে। সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, গত মাসে পরীক্ষামূলকভাবে টার্মিনালটি চালু করা হয়। এর পরই ধরা পড়ে ত্রুটি। ছয়তলা ভিত্তির তিনতলা কমপ্লেক্স প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ডালি কনস্ট্রাকশন। আট একর জায়গা জুড়ে এই টার্মিনাল।