পটুয়াখালীর বাউফলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আনন্দ র্যালি নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার, বাউফল থানার ওসি আল-মামুনসহ কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার সকালে বাউফল হাই স্কুল মাঠ থেকে আনন্দ র্যালি শুরু হয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে পৌঁছায়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদার গ্রুপ ও সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এমপি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রথমে লাঠিচার্জ পরে ২০ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ সময় দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে শহর জুড়ে আতংকের সৃষ্টি হয়। ব্যবসায়ীরা দোকান-পাট বন্ধ করে দেয়। আহত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদারসহ ৬ জনকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের বাউফল উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল মামুন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রথমে লাঠি চার্জ করা হয়। এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ২০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়া হয়েছে। এতে তিনিসহ পুলিশের আরও কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার আহত হওয়ায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এমপি বলেন, সংঘর্ষ কিছু না, সংঘর্ষ বলতে যা বুঝায়, তা না। আসলে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে হাজার হাজার নেতা-কর্মী আসছে এখানে। একটা বাধার সৃষ্টি করা, প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা, নিউজ করার জন্যই বোধ হয় আজকের এই ঘটনা। এটা কোনো ঘটনা না। আমি ছিলাম অনেক পেছনে, ওরা ছিল উপজেলা পরিষদের গেইটের সামনে। আমি জানি না, যারা জানে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন। তিনি আরও বলেন, কিছু কিছু লোকে আঘাত পেয়েছে শুনেছি। আমি এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি, শুনেছি একজন হাসপাতালে ট্রিটমেন্ট নিয়েছে আরেকজনের ছররা গুলি লেগেছে। বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।