ভাদ্র ও আশ্বিন মাসে যখন নদী খাল-বিলের পানি শুকিয়ে যেত সেই সময় নিদিষ্ট দিনে দল বেধে বাউথ উৎসব চলতো। বাউতের কিছু দিন আগে ডোর বা মাইক দিয়ে বাউতের কথা প্রচার করা হতো। দূর দুরান্ত থেকে মৎস্য শিকারিরা এসে আগের দিনে ওই এলাকায় অবস্থান করতো। ভোর হতে আনন্দ উল্লাসের সঙ্গে এই বাউত উৎসব শুরু হতো বর্তমানে জেলায় আগের মত আর বাউত উৎসব চোখে পরে না। তবে এখনও কোনো কোনো এলাকায় বাউত উৎসবের আয়োজন করা হয়। এর অংশ হিসেবে শনিবার (১১ মার্চ ) সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার মোহনপুর ত্রিমোহনী এলাকায় বিলসূর্য নদীতে বাউত উৎসব হয়। সকাল থেকে বিভিন্ন গ্রামের শতাধিক মানুষ পলো নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে নেমে পড়েন। চাকসা এলাকা থেকে বাউত নেমে মাছ ধরা শুরু হয়। নদীর প্রায় আধা কিলোমিটার মাছ ধরা হয়। গ্রামবাংলার বড় বড় বিলে আশপাশের গ্রামবাসী একদিন একত্র হয়ে দলবদ্ধভাবে মাছ শিকারে নামেন। গ্রামের হাট বা বাজারে টিন পিটিয়ে বা শিং ফুকিয়ে এই মাছ শিকারের দিনটির কথা অন্তত পাঁচ দিন আগেই ঘোষণা করা হয়। এ খবরে বিলের পাশের গ্রামগুলোতে দেখা দেয় উৎসবের আমেজ। এভাবে দলবেঁধে হইহল্লোড় করে গ্রামের জোয়ানদের মাছ ধরার কাজকে স্থানীয়ভাবে ‘বাউত’ উৎসব বলা হয়। অঞ্চল ভেদে এভাবে মাছ শিকারের কাজকে অন্য নামেও ডাকা হয়।