সংবাদ প্রকাশের জেরে বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন সময় টিভির বার্তা প্রধান সম্পাদক মুজতবা দানিশ ও রংপুর ব্যুরো প্রধান রতন সরকারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং পুলিশের হয়রানি বন্ধেরর প্রতিবাদে গাইবান্ধায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে জেলার কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক বৃন্দের আয়োজনে শহরের ডিবি রোডে গানাসাসের সামনে এ প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন পালিত হয়। মানববন্ধন শেষে সাংবাদিকরা ডিবি সড়কের ১ নং ট্রাফিক মোড় এলাকায় কলম ও ক্যামেরা রেখে অবস্থান নেয়। প্রতিবাদ ও মানবন্ধন কর্মসুচীতে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা অংশ নেয়। সাংবাদিক ছাড়াও মানববন্ধনে সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০২২ সালের ৮ আগস্ট সময় টিভির স্ক্রলে ‘রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সামসুল হকের বিরুদ্ধে ফলাফল জালিয়াতির অভিযোগ উঠার পরিপ্রেক্ষিতে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন ‘ শিরোনামে একটি সংসাদ প্রকাশিত হয়। খবর প্রকাশের পর সামসুল হক একই বছরের ২১ সেপ্টেম্বর রংপুরের সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মিথ্যা সংবাদ প্রচারের অভিযোগ এনে ৫০ লাখ টাকার মানহানির অভিযোগ তুলে সময় টেলিভিশনের বার্তা প্রধান মুজতবা দানিশ ও রংপুরের ব্যুরো প্রধান রতন সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দারের করেন। বক্তারা আরও বলেন, একটি দুর্নীতি চক্র তাদের অপরাদ চাপা দিতে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দিয়ে যাচ্ছে। গেল বছরে গাইবান্ধা জেলা পরিষদের দুর্নীতির খবর প্রকাশের পর সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জাতীয় পাটির নেতা আতাউর রহমান আতার জামাই আশরাফুল ইসলাম বাদি হয়ে মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, মাছরাঙা টেলিভিশনের গাইবান্ধা প্রতিনিধি সিদ্দিক আলম, দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি রবিন সেনের নামে মামলা দায়ের করেন । একই বছরের নভেম্বর মাসে সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোছাব্বির হোসেনের বিরুদ্ধে টাকা আত্নসাতের একটি খবর প্রকাশ হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকাপোষ্টের সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকার ও জেলা প্রতিনিধি রিপন আকন্দের নামে রংপুর সাইবার আদালতে মামলা দায়ের করেন ইউপি চেয়ারম্যান। মামলার মাধ্যমে হয়রানি করে দুর্নীতিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে দুর্নীতিবাজরা। মামলা দিয়ে সাংবাদিকদের কণ্ঠ রোধ করা যাবে না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে কুচক্ররা অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন। অবিলম্বে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান জেলার সাংবাদিক নেতারা।