পাঁচ বছর পর সিলেট নগরীতে পৃথক পৃথক কর্মসূচি নিয়ে শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজপথে নামছে দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। দীর্ঘ বিরতির পর আবারও দুই দলের মুখোমুখি হওয়ায় রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তবে এই আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিচ্ছেন দুই দলের দায়িত্বশীল নেতারা। তারা বলছেন, সিলেটের রাজনীতি সম্প্রীতির রাজনীতি। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছে কিন্তু কোনো প্রতিহিংসা নেই।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, ১০ দফা দাবিতে গত জানুয়ারিতে সিলেটসহ সব বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা দেয় বিএনপি। সে অনুযায়ী শনিবার বেলা ২টায় সিলেট রেজিস্ট্রারি মাঠে এই সমাবেশ শুরু হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বেগম সেলিমা রহমান। অপরদিকে একই দিনে আওয়ামী লীগ সিলেটে ‘শান্তি সমাবেশ’ করার ঘোষণা দিয়েছিল ওই একই মাঠে। কিন্তু পরবর্তীতে স্থান পরিবর্তন করে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে নিয়ে যাওয়া হয়। শনিবার বেলা ৩টায় এই সমাবেশ শুরু হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা সব সময় শান্তির পক্ষে। তাই রেজিস্ট্রারি মাঠে আমাদের কর্মসূচি থাকলেও স্থান বদল করে আমরা সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শান্তি সমাবেশের আয়োজন করেছি। কারণ আমরা শান্তিতে বিশ্বাসী বন্দুকের নলের উপর বিশ্বাসী নই।আমরা রাজনৈতিক সহাবস্থানের পক্ষে। তাই আমরা উদারতা দেখিয়ে নিজেদের কর্মসূচির স্থান পরিবর্তন করেছি। এখন বিএনপি যদি বিশৃঙ্খলা না করে তবে আমাদের শান্তি সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হবে।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীও একই সুরে গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে চাই। অহিংস আন্দোলন চালিয়ে যেতে চাই। নেতাকর্মীদেরও বলেছি, যাতে তারা কোন ধরনের বিশৃঙ্খলায় না জড়ায়। যদি সমাবেশ বানচাল করতে হঠকারিতা হয়, সেটা জনগণ প্রতিহত করবে। অতীতে সমাবেশ ঘিরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির কোনো সংঘাত হয়নি, এবারো হবে না। কেননা সিলেট শান্তির নগরী।