পদ্মা নদীতে নাব্য সংকটের কারণে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এতে নদী পার হতে স্বাভাবিক থেকে দ্বিগুণ সময় ব্যয় হচ্ছে। অন্য সময় প্রতিটি ফেরি ঘাটে আসতে আধা ঘণ্টা সময় লাগলেও বর্তমানে নাব্যতা ও ডুবোচরের কারণে ফেরিগুলোকে ঘুরে আসতে সময় লাগছে এক ঘণ্টারও বেশি।
ঘাট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা নদীতে নাব্য সংকট ও বিভিন্ন স্থানে ডুবোচরের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিটি বড় ফেরি চলাচলের জন্য কমপক্ষে আট ফুট পানির গভীরতা প্রয়োজন থাকলেও পদ্মা নদীর বিভিন্ন চ্যানেলে ডুবোচর সৃষ্টি হওয়ায় ফেরি চলাচল বিঘ্ন ঘটছে। পানির গভীরতা না থাকায় স্বাভাবিকভাবে ফেরি চলাচল করতে পারছে না। নৌপথের নির্দিষ্ট চ্যানেল ছেড়ে ফেরিগুলো দুই কিলোমিটার ঘুরে ভাটিপথ দিয়ে যানবাহন নিয়ে চলাচল করছে। এতে ফেরি পারাপারে আগের চেয়ে দ্বিগুণ সময় ব্যয় হচ্ছে।
কুষ্টিয়া থেকে ঢাকাগামী ট্রাকচালক আজিজুল শেখ বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকেই এই রুটে যানবাহনের চাপ অনেকটাই কমে গেছে। ঘাটে আসলে সরাসরি ফেরির নাগাল পাওয়া যায়। কিন্তু এক মাস ধরে নদীতে পানি কমে যাওয়ায় নাব্য সংকট দেখা দিয়েছে। এতে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ঘাটে ফেরির জন্য আমাদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। এছাড়া ফেরি কম থাকায় এ রুটে চলাচলকারী চালক ও সহকারীদের প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সালাহউদ্দিন বলেন, পদ্মা নদীতে পানি কমায় নদীর বিভিন্ন চ্যানেলে ডুবোচরের পাশাপাশি নাব্য সংকট দেখা দিয়েছে। এতে নদী পার হতে স্বাভাবিকের থেকে দ্বিগুণ সময় লাগছে। তবে আমাদের পর্যাপ্ত ফেরি বহরে রয়েছে। এছাড়া বিআইডব্লিউটিএ নদীতে ড্রেজিংয়ের কাজ চলমান রেখেছে।
বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী আক্কাছ আলী বলেন, ‘দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে নৌ চ্যানেলের বিভিন্ন পয়েন্টে একাধিক ড্রেজার দিয়ে দ্রুত খনন কাজ চলছে। আশা করছি খনন কাজ চলমান থাকলে ফেরি চলাচল ব্যাহত হবে না।’