ঠাকুরগাঁও জেলায় সালন্দর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসায় পরীক্ষার শেষ দিন দাখিল ১৯ ভুয়া পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। ২৮ সেপ্টম্বর বুধবার বেলা ১১ টায় ঠাকুরগাঁও সালন্দর ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা কেন্দ্রে লাউথুতি হক নগর দাখিল মাদ্রাসার ১৯ জন শিক্ষার্থী অন্যের পরিক্ষা দিতে এসে ভুয়া হিসেবে চিহ্নিত হয়। জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে লাউথুতি হক নগর দাখিল মাদ্রাসার ১৯ জন ভুয়া শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার খবর পেয়ে সালন্দর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে তাকে পরিক্ষা চলাকালীন সময়ে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু তাহের মোঃ শামসুজ্জামান এর নেতৃত্বে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুনা লায়লা এবং মোঃ আবুল হাসান, অধ্যক্ষ, সালন্দর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার উপস্থিতিতে অভিযান চালিয়ে প্রথমে মোঃ সাদেকুল ইসলাম(রোল-১৮৪৩২৫) ও মোঃ রিঙ্কু ইসলাম (রোল – ১৮৪৩২৭)দ্বয়কে ভুয়া পরীক্ষার্থী সনাক্ত করে বহিষ্কার করেন। পরবর্তীতে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পরীক্ষা কমিটির লোকজন জানতে পারেন যে, লাউথুতি হক নগর দাখিল মাদ্রাসার (নন এমপিও) প্রিন্সিপাল হামিদুর রহমান উক্ত মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করার জন্য ভুয়া পরীক্ষার্থীদের দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করায় এবং উক্ত পরীক্ষার্থীদের রেজাল্ট দেখিয়ে তার মাদ্রাসা এমপিওভক্ত করবেন। সেই লক্ষ্যে তিনি মোট ১৯ জন ভুয়া ছাত্র কে দিয়ে দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিয়েছেন। উক্ত ভুয়া পরীক্ষার্থীদের প্রবেশ পত্র এবং রেজিস্ট্রেশন কার্ডে ভুয়া পরীক্ষার্থীদের ছবি মিল আছে কিন্তু নাম ঠিকানা সঠিক নেই। উক্ত বিষয়ে জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় আরো গভীরভাবে পরীক্ষার্থীদের সনাক্তকরণ শুরু করে এবং এক পর্যায়ে পরীক্ষা শেষের দিকে ১)মোঃ রিফাত ইসলাম (রোল-১৮৪৩১০),২) মোঃ সিফাত(রোল-১৮৪৩১১),৩) মোঃ রাহিম ইসলাম (রোল-১৮৪৩১২), ৪) মোঃ কামরুল ইসলাম (রোল-১৮৪৩১৩),৫) মোঃ মনজুরুল ইসলাম(রোল-১৮৪৩১৪),৬) আরিফ ইসলাম (রোল-১৮৪৩১৫),৭। মোঃ রাকিব ইসলাম (রোল-১৮৪৩১৬),৮)মোঃ সোলায়মান (রোল-১৮৪৩১৭),৯। আব্দুল্লাহ আল মোমিন(রোল-১৮৪৩১৮),১০) মোঃ রিফাত ইসলাম (রোল-১৮৪৩১৯),১১)মোঃ ফাহিম ইসলাম (রোল-১৮৪৩২০),১২)মোঃ আল আমিন (রোল-১৮৪৩২১),১৩) মোঃ ফারজুল ইসলাম(রোল-১৮৪৩২২),১৪)মোঃ শাহাদাত হোসেন (রোল-১৮৪৩২৩),১৫)মাহাবুর রহমান(রোল-১৮৪৩২৪),১৬) মোঃ পারভেজ মোশারফ (রোল-১৮৪৩২৬),১৭) মোঃ জুবায়ের ইসলাম (রোল-১৮৪৩২৮) গনকে ভুয়া পরীক্ষার্থী হিসেবে শনাক্ত করে তাদেরকে বহিষ্কার করেন এবং তাদেরকে আটক করে রাখেন।
উক্ত ১৯ জন ভুয়া শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে এবং ১৭ জন কে আটক রেখে পরীক্ষার্থীদের বয়স ( সকলের বয়স ১৬/১৭ বছর)কম হওয়ায় বয়স বিবেচনায় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাদের আত্মীয়-স্বজনকে ডেকে মোচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশনা দেন। উক্ত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৯ এবং ১০ নম্বরের পরীক্ষার্থী শুধুমাত্র আজকে পরীক্ষা দিয়েছে, বাকি সকল পরীক্ষার্থী সকল পরীক্ষা দিয়েছ।
১)মোঃ রিফাত ইসলাম (রোল-১৮৪৩১০),২) মোঃ সিফাত(রোল-১৮৪৩১১),৩) মোঃ রাহিম ইসলাম (রোল-১৮৪৩১২), ৪) মোঃ কামরুল ইসলাম (রোল-১৮৪৩১৩),৫) মোঃ মনজুরুল ইসলাম(রোল-১৮৪৩১৪),৬) আরিফ ইসলাম (রোল-১৮৪৩১৫),৭। মোঃ রাকিব ইসলাম (রোল-১৮৪৩১৬),৮)মোঃ সোলায়মান (রোল-১৮৪৩১৭),৯। আব্দুল্লাহ আল মোমিন(রোল-১৮৪৩১৮),১০) মোঃ রিফাত ইসলাম (রোল-১৮৪৩১৯),১১)মোঃ ফাহিম ইসলাম (রোল-১৮৪৩২০),১২)মোঃ আল আমিন (রোল-১৮৪৩২১),১৩) মোঃ ফারজুল ইসলাম(রোল-১৮৪৩২২),১৪)মোঃ শাহাদাত হোসেন (রোল-১৮৪৩২৩),১৫)মাহাবুর রহমান(রোল-১৮৪৩২৪),১৬) মোঃ পারভেজ মোশারফ (রোল-১৮৪৩২৫),১৭) মোঃ জুবায়ের ইসলাম (রোল-১৮৪৩২৬) এবং ১৮)মোঃ সাদেকুল ইসলাম(রোল-১৮৪৩২৫) ,১৯)মোঃ রিঙ্কু ইসলাম (রোল – ১৮৪৩২৭) ,ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু তাহের মোঃ শামসুজ্জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে লাউথুতি হক নগর দাখিল মাদ্রাসার ১৯ জন ভুয়া শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার খবর পেয়ে পরিক্ষা চলাকালীন সময় ১৯ জন ভুয়া শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে এবং ১৭ জনকে আটক করা হয়। এবং আটককৃতদের বয়স বিবেচনায় অভিভাবকদের মোচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।