দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় সারের দাবীতে বীরগঞ্জ-কাহারোল সড়ক অবরোধ করে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় কৃষকরা।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন উপজেলার দুই শতাধিক কৃষক।পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুল হাসান সার প্রাপ্তী নিশ্চিতের আশ্বাস প্রদান করলে অবরোধ তুলে নেন তারা।
কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী কাহারোল উপজেলায় এবার চলতি আমন মৌসুমে আমনের আবাদ হয়েছে ১৫ হাজার ৩০ হেক্টর জমিতে। উপজেলায় বিএডিসির ১৭জন এবং বিসিআইসির ১০জন সারের ডিলার রয়েছে। চলতি মাসে উপজেলায় এমওপি সারের চাহিদা দেওয়া হয়েছে ৫৫০ মেট্রিক টন। চাহিদার বিপরীতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বরাদ্দ পেয়েছেন ১৪৩ মেট্রিক টন। যা চাহিদার মাত্র ২৬ শতাংশ।
কৃষকদের অভিযোগ ডিলারের ঘরে সার আছে কিন্তু ডিলারা নিজেদের লোকদের সরবরাহ করছেন। দামও রাখছেন বেশি। গোপনে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে সার বিক্রি করছেন। ফলে সরকার নির্ধারিত ৭৫০ টাকার বস্তা বাইরে কিনতে হচ্ছে দ্বিগুন দামে। অন্যদিকে চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম হওয়া এবং সার না পাওয়ায় আমন আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।
ডিলাররা বলছেন, কৃষকদের সব অভিযোগ সত্য নয়। সারের বরাদ্দ কম হলে ডিলারদের করার কিছু থাকেনা। কাহারোল বাজারের বিএডিসির ডিলার পুলিন চন্দ্র বলেন, গত বছর এই সময়ে সার উত্তোলন করেছিলেন ৬০০ বস্তা। এবার সেখানে পেয়েছেন মাত্র ২৬০ বস্তা। তাছাড়া কিছুদিন পরে আলু লাগানোর মৌসুম শুরু হবে। আগামীতে সারের সংকট হবে এমন আশঙ্কা থেকে অনেকেই বেশি করে সার কিনে মজুদ করছেন।
দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার মুকুন্দপুর পানিশাইল গ্রামের কৃষক জাকিরুল ইসলাম বলেন চাহিদা মাফিক অন্যান্য সার জমিতে দিতে পারলেও এমওপি সারের জন্য ডিলারের কাছে পাঁচদিন ধরে ঘুরে সার পাইনি তাই আজ বাধ্য হয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দিনাজপুর বিএডিসির এক কর্মকর্তা বলেন, এমওপি সারের কোন সংকট নেই। প্রায় দুই সপ্তাহ হয়ে গেছে অফিসে সারের বরাদ্দের চালান পেয়েছি ই-মেইলে। কিন্তু মাল এসে পৌঁছেনি। পরিবহনকাজে নিয়োজিত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলো সময়মত গুদামে মাল সরবরাহ করতে পারছেননা। ফলে তারাও ডিলারদের চাহিদামত সার বরাদ্দ দিতে পারছেন না।