ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ইউক্রেনকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ২৫ বছর পর সেমিফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড। সবশেষ তারা ১৯৯৬ সালে সেমিফাইনাল খেলেছিল। সেমিতে টাইব্রেকারে ৬-৫ ব্যবধানে জার্মানির কাছে হেরেছিল। এরপর গেল ২৫ বছরেও আর শেষ চারে জায়গা করে নিতে পারেনি থ্রি লায়ন্সরা। অবশেষে সেই গেড়ো খুললো তারা।
শনিবার (৩ জুলাই) দিবাগত রাতে ইতালির রাজধানী রোমের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ম্যাচের ৪ মিনিটের মাথায় লিড নেয় ইংল্যান্ড। এ সময় বামদিক থেকে রহিম স্টার্লিংয়ের ডিফেন্স চেড়া পাস বক্সের মধ্যে পেয়ে যান হ্যারি কেন। তার সামনে ছিলেন ইউক্রেনের গোলরক্ষক জিওর্জি বুসচান। হ্যারির নেওয়া শট তার বুকে লেগেও জালে জড়ায়।
এর মধ্য দিয়ে পর পর দুই ম্যাচে গোল পেলেন হ্যারি। আর এটা ছিল ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে ৫৯তম ম্যাচে তার ৩৬তম গোল। হ্যারির গোলে এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধের খেলা শেষ করে গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা।
বিরতির পর পরই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন হ্যারি মাগুইর। এ সময় (৪৬ মি.) সময় বামদিকে ফ্রি কিক পায় ইংল্যান্ড। ফ্রি কিক থেকে উড়ে আসা বলে বক্সের মধ্যে লাফিয়ে উঠে হেড নেন মাগুইর। বল গোলরক্ষকের নাগালের বাইরে দিয়ে জালে আশ্রয় নেয়।
৫০ মিনিটের মাথায় নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করেন অধিনায়ক হ্যারি কেন। এ সময় বামদিক থেকে লুক শ ক্রসে বল বাড়িয়ে দেন বক্সের মধ্যে। সেখানে হেড নেন হ্যারি। বল জালে জড়ায়। আর ইংল্যান্ড এগিয়ে যায় ৩-০ ব্যবধানে। এর মধ্য দিয়ে ইংল্যান্ডের প্রথম কোনো খেলোয়াড় হিসেবে ইউরোর নকআউট পর্বে জোড়া গোল করার নজির স্থাপন করেন হ্যারি।
৬১ মিনিটের মাথায় হ্যাটট্রিক পেয়েই গিয়েছিলেন হ্যারি। কিন্তু বক্সের বাইরে থেকে তার নেওয়া দুর্দান্ত একটি শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন ইউক্রেনের গোলরক্ষক বুসচান। অবশ্য এই কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে হেড দিয়ে জালে জড়ান জর্ডান হেন্ডারসন। তাতে ইংল্যান্ড এগিয়ে যায় ৪-০ ব্যবধানে। ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে এটা ছিল হেন্ডারসনের প্রথম গোল।
বাকি সময়ে অবশ্য আর কোনো গোল পায়নি ইংল্যান্ড। অবশ্য জয়ের জন্য আর কোনো গোলের প্রয়োজনও হয়নি তাদের।
এর মধ্য দিয়ে চলতি ইউরোতে পাঁচ ম্যাচে মাঠে নেমে ৮ গোল করলো ইংল্যান্ড। পক্ষান্তরে একটি গোলও হজম করেনি তারা। সেমিফাইনালে আগামী মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঘরের মাঠ ওয়েম্বলিতে তারা ডেনমার্কের মুখোমুখি হবে। এখন দেখার বিষয় রূপকথার জন্ম দিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছানো ডেনমার্ককে থামিয়ে প্রথমবারের মতো ইউরোর ফাইনালে উঠতে পারে কিনা ইংলিশরা।