ePaper

কাশিয়ানীতে কমলমতি শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির টাকা থেকে বঞ্চিত

কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানীতে এক হাজারের বেশী শিক্ষার্থী উপবৃত্তির টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এতে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যাবস্থা মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নানা ধরনের জটিলতার কারনে উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত এক হাজারের বেশী শিক্ষার্থী। সরকার শিক্ষার হার বাড়াতে শিক্ষার্থী এবং অভিবাবকদের শিক্ষার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে উপবৃত্তি প্রথা চালু করে। শতভাগ শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি পাবার কথা থাকলেও কাশিয়ানী উপজেলার ১৭১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক হাজারের বেশী শিক্ষার্থী উপবৃত্তির সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জানা গেছে, বাবা মায়ের ন্যাশনাল আই ডি কার্ডের সাথে সন্তানের নিবন্ধন জটিলতা এবং সন্তানের ডিজিটাল নিবন্ধন না থাকা, নিবন্ধনে অমিল থাকার জটিলতা, মায়ের নামে মোবাইল সিমের রেজিস্ট্রেশন না থাকা, বিকাশ এবং নগদ একাউন্ট মেচিং জটিলতা, সবচেয়ে বড় সমস্যায় পড়ছে এতিম অসহায় অবহেলিত শিশুরা। যে সব শিশু শিক্ষার্থীদের বাবা মা মধ্যে ডিবোর্জ হয়েছে তাদের সন্তান, এবং স্বামী পরিত্যাক্ত মায়ের সন্তান, বাবা অথবা মা মারা গেছেন এমন মা বাবার অসহায় সন্তানরা উপবৃত্তির টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া রয়েছে নিবন্ধন ডিজিটালসহ বিকাশ ও নগদ একাউন্ট জটিলতা। ফলে শ’শ এতিম অসহায় শিশু শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির টাকা পাচ্ছে না। এ ব্যাপারে মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কামরুল হাসান এবং বাগঝাপা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাধনা রানী শীল, মহনাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ মাসুদ হাসান বাবলু জানান, বাবা অথবা মা বেচেঁ না থাকলে আমরা উপবৃত্তি আফলোড করতে পারি না। মৃত বাবা মায়ের ন্যাশনাল আই, ডি কার্ড সার্ভারে প্রবেশ করে না। আমরা চাইলেও কিছু করতে পারি না। আমরা একবারেই অসাহয়। সাজাইল ইউনিয়নের বাগঝাপা গ্রামের হতদরিদ্র অভিবাবক সাহিদা বেগম জানান, আমি একজন বিধবা আমি নিজেই চলতে পারি না। আমার মেয়ে উপবৃত্তি পায় না। এমন অনেক অভিবাক উপজেলা শিক্ষা অফিসে ধরনা দিলেও কোন প্রকার ফল পায়নি। আইনে জটিলতার ফলে এসব অসচ্ছল শিশুরা উপবৃত্তির সুবিধা (টাকা) থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার মো. চঞ্চল শেখ জানান, উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই একই অবস্থা। অনেক শিশু উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সার্ভারে এন্ট্রি দিলে মৃত ব্যাক্তির ন্যাশনাল আই ডি পাওয়া যায় না। যে কারনে আমাদের সদিচ্ছা থাকলেও কিছুই করতে পারি না। উপজেলা শিক্ষা অফিসার উত্তম কুমার সরকার সত্যাতা নিশ্চিত করে বলেন, আমাদের কোন প্রকার ক্ষমতা নেই। আমরা এসব শিশুদের জন্য কিছু করতে পারি না। উপজেলা নির্বাচন অফিসার মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ জানান, ন্যাশনাল আই ডি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আই ডি ওপেন থাকলে মৃত ব্যাক্তির পরিবার ও আত্নীয়স্বজন পেনশনসহ সরকারি বিভিন্ন সুবিধা অবৈধ্য ভাবে ভোগ করতে পারে। সরকার আর্থিক ভাবে ক্ষতি হবে। সে কারনেই আই ডি বন্ধ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *