কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার সদ্য প্রত্যাহার হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাসকে গ্রেফতারের পর কক্সবাজারে নেয়া হচ্ছে।
৬ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বিশেষ সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে দুপুরে চট্টগ্রামের লালখান বাজার এলাকা থেকে মেজর সিনহা হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি ওসি প্রদীপ কুমার দাসকে গ্রেফতার করে সিএমপি সদস্যরা।
এদিকে পুলিশের একটি সূত্র জানায়, প্রদীপ কুমার বুধবার (০৫ আগষ্ট) চট্টগ্রাম পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। আদালতে মামলা দায়েরের পর তিনি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করতে চান। তবে রাত হয়ে যাওয়ায় বুধবার তিনি আত্মসমর্পণ করতে পারেননি। আজ সিএমপির প্রহরায় তাকে কক্সবাজারে নেয়া হচ্ছে।
গতকাল বুধবার কক্সবাজারে টেকনাফ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে ওসি প্রদীপ ও মো. লিয়াকতসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে টেকনাফ থানার ওসিকে মামলাটি এফআইআর হিসাবে রুজু এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব-১৫) তদন্তের নির্দেশ দেন।
এরপর এই ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এছাড়া এ ঘটনায় ৯ পুলিশ সদস্যসহ ১৭ জনকে প্রত্যাহার করেছে কর্তৃপক্ষ।
আসামিরা হলেন- টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস, টেকনাফ বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের আইসি পুলিশ পরিদর্শক মো. লিয়াকত, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) টুটুল ও কনস্টেবল মোহাম্মদ মোস্তফা।
গত ৩১ আগস্ট রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।