পরিবারের সাত সদস্যসহ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। আক্রান্তদের মধ্যে মেয়ে-নাতি-নাতনীসহ পরিবারের পাঁচজন এবং বাসার দুই কেয়ারটেকারও রয়েছেন।
শনিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান। তিনি বলেন, শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে উপাচার্যের বাসার ১২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেখানে উপাচার্যের পরিবারের সাতজনের কোভিড-১৯ পজিটিভ এসেছে।
এর আগে চবি উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর আলমসহ ক্যাম্পাসের আশপাশে ১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এরপর ৪ জুলাই ১৪ দিনের জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস লকডাউন ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। তবে সে সময় উপাচার্যের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হলেও ফলাফল নেগেটিভ আসে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
এদিকে রাতে পাঠানো চবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী করেনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করায় শুরু থেকে চবি পরিবারের (শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ) সদস্যদের সুরক্ষা দিতে চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার চবি মেডিকেল সেন্টারের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও আধুনিকায়ন এবং বৃহত্তর চট্টগ্রামের জনগোষ্ঠির সুবিধার্থে চবিতে করোনা টেস্টিং ল্যাব স্থাপনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এবং সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাসে অবস্থান করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সম্মুখ সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এছাড়াও চবির অস্থায়ী কর্মচারী, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সুরক্ষায় নিয়োজিত কর্মচারী এবং গরীব শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের সহায়তা প্রদানসহ করোনা প্রতিরোধে সবধরনের কার্যক্রমে তিনি স্বশরীরে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
এসব কারণে উপাচার্য সামান্য অসুস্থ হয়ে পড়লে শনিবার উপাচার্য এবং তার পরিবারের সদস্যদের নমুনা টেস্ট করা হলে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। উপাচার্য রবিবার থেকে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেবেন। উপাচার্য এ অদৃশ্য ভাইরাস থেকে সুস্থ হতে চবি পরিবারসহ সকলের কাছে দোয়া কামনা করেছেন।