নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে মারধর করে পদত্যাগপত্রে সই নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে একদল সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে। এ সময় প্রধান শিক্ষক মাহফুজুর রহমান ভূঁইয়াকে রক্ষা করতে আসা স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের উপরও হামলা করা হয়। হামলায় কমপক্ষে ২০ জন ছাত্র ছাত্রী আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, সুজন, ছাব্বির, রাবেয়া, রোকসানাসহ আরো অনেকে। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এর প্রতিবাদে ছাত্র ছাত্রীরা আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে আনুমানিক ১২টা পর্যন্ত উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের আবিরপাড়া মাধ্যমিক স্কুলে প্রতিবাদ মিছিল ও বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষা বাংলা দ্বিতীয় পত্রের ক্লাস বর্জন করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে কয়েক দফা সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। বিদ্যানিকেতন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহফজুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, কয়েক দিন ধরে আমার বিরুদ্ধে এলাকার কিছু লোক নানা মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমাকে পদত্যাগ করতে হবে বলে নানা রকম হুমকি দিচ্ছিল। আজ আমি বিদ্যালয়ে যাওয়ার পর বেলা আনুমানিক ১১টার দিকে মাসুমের নেতৃতে শতাধিক প্রক্তম ছাত্র ও এলাকার স্থানীয় সন্ত্রাসী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিদ্যালয়ে ঢোকেন। আমাকে মারধর করে লিখিত পদত্যাগপত্রে এবং দুইটি সাদা কাগজে সই আদায় করে নেয়। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক জাকের হোসেন জানান, প্রধান শিক্ষকে মারধর করে জোর পূর্বক স্বাক্ষর নেয় কিছু যুবক, এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা বর্জন করেছে। জানতে চাইলে সোনাইমুড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.মোরশেদ আলম বলেন, প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে পদত্যাগপত্রে সই নেওয়ার ঘটনাটি যখন শুনেছেন, তখন পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থা দেখে চলে আসে । তবে প্রধান শিক্ষক এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাছরিন আক্তার বলেন, দুপুরের দিকে একটি মুঠোফোন নম্বর থেকে ফোন করে প্রধান শিক্ষক হামলার কথা জানিয়ে তাঁর কাছ থেকে জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে সই আদায় করে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন। প্রধান শিক্ষক এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।