উপমহাদেশের অন্যতম প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ, বাঙালিদের নন্দিত নেতা, অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী, পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠাতা, লাঙ্গল যার জমি তার, গরীব কৃষকদের জন্য ঋণ সালিশী বোর্ড গঠন, বাঙালিদের শিক্ষার দূত, ঢাকা হাইকোর্ট আইনজীবী সমিতির ৮ বারের সভাপতি, ১৯৪০ সালে লাহোর প্রস্তাবের প্রবক্তা শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের ১৫১তম জন্মবার্ষিকীতে জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি ও বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ যৌথভাবে মহান নেতা শেরে বাংলার মাজার পুস্পস্তবক অর্পণ ও এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় গতকাল সকাল ৮.৩০টায় মহান নেতা শেরে বাংলার মাজার প্রাঙ্গণ, ঢাকায়। সভাপতিত্ব করেন ১৯৬৯ গণ-আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান জনাব মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, প্রবাসী মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী, তাজউদ্দীন আহমেদের রাজনৈতিক উপদেষ্টা, বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, সাবেক এমপি, ৭৫’র পর স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের আইনী লড়াইয়ে একমাত্র আইনজীবী সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও মাজদার হোসেনের (বিচার বিভাগ আলাদা) মামলার আইনজীবী ব্যারিস্টার আমির-উল-ইসলাম। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন গণফোরাম সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সিনিয়র আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কলামিস্ট ও সাহিত্যিক কবি নাহিদ রোকসানা, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম.এ জলিল, সুপ্রীমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এড. আব্দুল হক চাষী, যুবনেতা রোকনউদ্দিন পাঠান, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান এম.এ ভাসানী, ভূমিহীন আন্দোলনের নেতা আবু তাহের, কৃষক নেতা আবু মাসুম উদ্দিন, বরিশাল বিভাগ সমিতির অন্যতম সদস্য মুকিম হক, এড. সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ জনকল্যাণ পার্টির সভাপতি দেওয়ান খাইরুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সহ সভাপতি ফাতেমা খাতুন ও দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের জন্য যা কিছু কল্যাণকর আজ পর্যন্ত হয়েছে তার পিছনে শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের অবদান অন্যতম। তিনি একাধারে অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী, পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বাঙালি কৃষকদের মুক্তির লক্ষ্যে ঋণ সালিশী বোর্ড গঠন করেন, বাঙালিদের ১লা বৈশাখ ও ভাষা দিবসকে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন। বাংলা একাডেমি ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। শেরে বাংলা ছিল বাংলাদেশের অসহায় শ্রমিক-কৃষকের দরদী নেতা। আসুন আমরা সবাই শেরে বাংলার আদর্শকে ধারণ করি এবং বাংলাদেশকে একটি আদর্শীক, আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তুলি। যেখানে থাকবে না সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, দুর্নীতি, টাকা পাচার, মাদক, দেশ হবে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত। বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি সকল ইতিহাস সৃষ্টির পেছনে যাদের বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন তাদের ইতিহাসকে সঠিকভাবে রচনা করার জন্য বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল জয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। বক্তারা আরো বলেন, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা আপনি গত ৪০ বছর পর্যন্ত বলে আসছেন যুবকদেরকে উদ্যোক্তা বানাতে চাই। তাই আপনার কাছে আমাদের দাবি সকল বেকার যুবকদের ১০ লক্ষ টাকা করে ঋণ দিন, স্বল্প সুদে সহজ শর্তে এবং আগামী ৩ মাসের মধ্যে আমাদের দাবি খাদ্য ঘাটতি কমে যাবে। ৬ বছরের মাথায় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে। বাংলাদেশ হবে পরিবেশ বান্ধব একটি উন্নত দেশ। বক্তারা বলেন, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে শেরে বাংলা চেয়ার করা হোক। এই দাবিটি অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে দাবি করছি।