বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেছেন, সারাদেশে প্রথমে যে কয়েকটি জুট মিল চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তার মধ্যে যদি সিরাজগঞ্জের কওমি জুট মিল চালু করা না হয় তাহলে শ্রমিকদের নিয়ে আমরা সিরাজগঞ্জে বৃহত্তর আন্দোলনে যাব। তবে আমরা সরকারকে বিব্রত করতে চাই না। কিন্তু এর বাইরে আমাদের কোনো উপায় থাকবে না। আমাদের দাবি, সরকার যে ৪-৫টা জুট মিল চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে তার মধ্যে সিরাজগঞ্জের কওমি জুট মিল থাকতে হবে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জের একটি রেস্টুরেন্টে ঐতিহ্যবাহী সিরাজগঞ্জ কওমি জুট মিল পুনরায় চালুর দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, এই কৃষিনির্ভর জেলায় কিন্তু ব্যাপক পাট উৎপাদন হয়। আজ জুট মিল বন্ধ থাকার কারণে কৃষক পাটের ন্যায্যমূল্য পায় না। এই জুট মিলটি পুনরায় চালুর দাবি নিয়ে আজ আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। বিগত লুটেরা সরকার সবগুলো প্রতিষ্ঠানের মতো এটাকেও ধ্বংস করে দিয়েছে। যেহেতু ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্টদের দাবির প্রেক্ষিতে সরকার কয়েকটা জুট মিল চালুর উদ্যোগ নিয়েছে তাই আপনাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের দাবি, সব কিছু বিবেচনা করে উত্তরবঙ্গের মধ্যে এই জুট মিলটি চালু করতে হবে। সরকার পলিথিন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাই এর বিকল্প হিসেবে জুট মিলে তৈরি পাটের বস্ত্র এ ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে।
তিনি আরও বলেন, জুট মিল বন্ধ থাকার কারণে শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এদের বেশিরভাগ আবার এখন জীবিকার জন্য রিকশা চালায়। যার ফলে ছোট শহরে এখন রিকশা বেড়ে গেছে, শহরে বেড়েছে যানজট।
বাচ্চু বলেন, এই জুট মিলের অনেক শ্রমিকদের পাওনা বেতন দেওয়া হয়নি। আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও এর পাট উপদেষ্টার কাছে দাবি জানাব, তাদের বকেয়া বেতনগুলো দিয়ে দেওয়ার জন্য। এতে তাদের পরিবারগুলো অনেক উপকৃত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয়তাবাদী পাট শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কওমি জুট মিল মজদুর ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন তালুকদার, জেলা শ্রমিক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিশা শেখ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাব, সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন, জেলা ইলেকট্রিক মিস্ত্রি শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হানিফ শেখ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।