কুষ্টিয়া জেলায় এবার ২২৬ টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে মন্ডপগুলোতে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। শুধুমাত্র রং তুলির কাজ বাঁকি রয়েছে। এরমধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ৭২টি, খোকসা উপজেলায় ৫৯টি, কুমারখালী উপজেলায় ৫৪টি, মিরপুর উপজেলায় ২৬টি, ভেড়ামারা উপজেলায় ৮টি ও দৌলতপুর উপজেলায় ৭টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। কুষ্টিয়া শহরের গোপীনাথ জিউর মন্দির, সদরপুর সার্বজনীন পূজা মন্দির ও শহরতলীর বিভিন্ন পূজা মন্ডপে ঘুরে দেখা গেছে, ইতিমধ্যে অধিকাংশ মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। শুধুমাত্র রং তুলির আঁচড়ের কাজ বাকি রয়েছে। কুষ্টিয়া জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জয়দেব বিশ্বাস বলেন, এবার জেলায় ২২৬টি পূজা মন্ডপে সরকারের সকল নির্দেশনা মোতাবেক পূজা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৮ অক্টোবর বোধন পূজার মাধ্যমে শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হবে। ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠী, ১০ অক্টোবর মহাসপ্তমী, ১১ অক্টোবর মহাষ্টমী, ১২ অক্টোবর মহানবমী, ১৩ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শারদীয় দুর্গাপূজার পরিসমাপ্তি ঘটবে। কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ভাতৃত্ববোধ বজায় রেখে সরকারি সকল নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গোৎসব উদযাপন করতে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া পূজা মন্ডপের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সদস্যদের পূজা মন্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, স্বেচ্ছাসেবক ও গার্ড নিয়োগ এবং পূজা মন্ডপে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা এবং সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পূজা মন্ডপে পালাক্রমে ডিউটির ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। কোথাও কোনো সমস্যা হলে দ্রুত সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের বিট অফিসার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পুলিশ সুপারকে অবহিত করার জন্য সবাইকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রতিটি পূজা মন্ডপে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। পূজা মন্ডপে র্যাব, পুলিশ ছাড়া আনসার মোতায়েন করা হবে।