জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকে রিমান্ড শুনানিতে এজলাসে নির্ধারিত খাঁচায় তোলা হয়নি।
বৃহস্পতিবার বেলা ৩টা ২০ মিনিটে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয় থেকে তাদের একটি প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে নেওয়া হয়। এরপর তাদের কোর্ট হাজতে রাখা হয়।
এর কিছুক্ষণ পর হেলমেট পরিয়ে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সিএমএ আদালতের দোতলায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রশিদুল আলমের আদালতে তোলা হয়। পলক, টুকু ও সৈকতকে পুলিশি নিরাপত্তায় এজলাসের একপাশে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এ সময় তাদের খাঁচায় নিতে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা হইচইকরেন। তবে সিনিয়র আইনজীবীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এরপর সংক্ষিপ্ত শুনানি শেষে বিচারক তাদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
এদিকে শুনানি শেষে আবার কোর্ট হাজতে নেওয়ার সময় তাদেরকে লক্ষ্য করে ডিম ও জুতা নিক্ষেপ করা হয়। তবে বুধবারের তুলনায় বৃহস্পতিবার আদালতে আসামিদের তুলনামূলক বেশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পলক, টুকু ও সৈকতকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আসামিপক্ষে একজন আইনজীবী রিমান্ড বাতিলসহ জামিন চান। শুনানি শেষে বিচারক তাদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
এর আগে পল্টন থানায় দায়ের একটি মামলায় বুধবার রাতে তাদের গ্রেফতারের কথা জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।