টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর নেতাকর্মী গ্রেফতারের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ ও থানা ঘেরাও করা হয়েছে। এসময় টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রায় ৮ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে সাবেক এ মন্ত্রীর নির্দেশে অ্যাম্বুলেন্স গাড়ীগুলো ছেড়ে দেয় তার বিক্ষুব্ধ কর্মীরা। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ ও থানা ঘেরাও করা হয়। আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর নেতাকর্মীরা অবরোধে অংশ নিয়ে গ্রেফতারকৃত কর্মীদের ছেড়ে দেয়ার দাবী করা হয়। নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, আমার সমর্থক হাসমত আলীকে বিনা অপরাধে থানায় আটক করে রাখা হয়েছে। এছাড়াও আরও কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিনাশর্তে মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত এখন থেকে যাবো না। পরে প্রতিবাদের মুখে চারজনকে ছেড়ে দেয়া হলেও এজাহারভুক্ত আসামী হওয়ায় দুইজনকে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে, এজারভুক্ত আসামীদের গ্রেফতারের খবর পেয়ে কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নৌকার পরাজিত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজহারুল ইসলাম তার কর্মীদের নিয়ে থানায় গেলে, লতিফ সিদ্দিকীর কর্মী-সমর্থকরা তাদের উপর চড়াও হয়। এসময় স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফ সিদ্দিকীর বিক্ষুব্ধ কর্মীরা কালিহাতী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনছার আলী বিকম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মালেক ভূইঞা ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেনসহ বেশ কয়েকজন লাঞ্ছিত করে। কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা দলীয় নেতাকর্মীদের লাঞ্ছিত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এমন ঘটনা কালিহাতীর জন্য লজ্জাস্কর ও দুঃখজনক। এ বিষয়ে কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ফারুক জানান, হাসমত নেতা একজন এজাহরভুক্ত আসামী। অপরাধ ছাড়া কাউকে আটক করা হয়নি। উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকাকে পরাজিত করে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী (ট্রাক প্রতীকে) বিজয়ী হয়। বিজয়ী হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফ সিদ্দিকীর কর্মী-সমর্থকারা নৌকার কর্মী জেলা পরিষদের সদস্য আয়নাল হকসহ বেশ কিছু নেতাকর্মীদের বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও তান্ডব চালায়। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়।