মাটি ও পানি জীবনের উৎস’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সয়েল ওয়াটার এন্ড এনভায়রনমেন্ট ডিসিপ্লিনের উদ্যোগে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস উদযাপন করা হয়। উক্ত দিবসটি উপলক্ষে সকালে আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের কনফারেন্স রুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের চলতি দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা। এ সময়ে তিনি তার বক্তৃতায় বলেন, এই পৃথিবীতে সুন্দরভাবে বেঁচে থাকা আমাদের মূল লক্ষ ও উদ্দেশ্য। সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে যে মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করতে হয়, তার সাথে মৃত্তিকা ও পানি সবক্ষেত্রে জড়িত রয়েছে। পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান মৃত্তিকা বা মাটি, যা আমাদের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত পরিচালিত করে থাকে। মাটি-পানি ভালো থাকলে আমরাও ভালো থাকব। এজন্য মাটিকে দূষণের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করতে অতীব জরুরী। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় থেকে মাটি দূষণ রোধে সমন্বিত গবেষণা করতে হবে। তিনি আরোও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার রূপকল্প ২০৪১ অর্থাৎ উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষে নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছেন। সে কারণে মাটি ও পানিসহ সকল প্রাকৃতিক সম্পদের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিতের মাধ্যমে কৃষিখাতে সাফল্যের ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে হবে। কিভাবে মাটি-পানি এবং নিজেকে সুন্দর ও সুস্থ রাখা যায় এ বিষয়ে সকলকে জানতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের সকলকে সচেতনের পাশাপাশি বিশেষ করে পরিবেশের উপাদানগুলো যাতে দূষিত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা অতীব জরুরী। উক্ত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর মোঃ শরীফ হাসান লিমন। ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর মোঃ সানাউল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহযোগী অধ্যাপক মোঃ সাদিকুল আমিন। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সয়েল অলিম্পিয়াড, কুইজ প্রতিযোগিতাসহ বেশ কয়েকটি ইভেন্টে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী গৌরব কুমার পাল ও কিফায়াত আরা রিফা। এসময় ডিসিপ্লিনের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে উপ-উপাচার্যের নেতৃত্বে অদম্য বাংলা চত্বর থেকে ক্যাম্পাসে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে অদম্য বাংলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। র্যালিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ছাত্র বিষয়ক পরিচালক, সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিন প্রধানসহ বিভিন্ন ডিসিপ্লিন প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।