খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি চৌকস আআভিযানিক টিম গত ২৫ নভেম্বর দিবাগত রাতে খুলনা মহানগরীর হরিণটানা থানাধীন খানজাহান নগর এলাকা হতে ১নং আসামি মোঃ আনিসুর রহমান রুহুল আমিন রকি(৩৬), পিতা-মোঃ আতিয়ার রহমান, সাং-সন্তোষপুর, পোড়াদহ, থানা-কুষ্টিয়া সদর, ২নং আসামি মোঃ শাকিল আহম্মেদ(২৬), পিতা-শেখ মহিউদ্দিন, সাং-১৮৩ গোপিনাথপুর, লক্ষীপাশা, থানা-লোহাগড়া, জেলা-নড়াইল ৩নং আসামি মোঃ রিজভী আজিম খান(২৭), পিতা-মোঃ আজম খান, সাং-গোলখালী, থানা-মির্জাগঞ্জ, জেলা-পটুয়াখালী এবং ৪নং আসামি মেহেদী হোসেন সালিত(২৪), পিতা-মৃত মতিয়ার রহমান, সাং-কবি গোলাম মোস্তফা সড়ক, হোল্ডিং নং-২৬, থানা-ঝিনাইদহ সদর, উভয়দের কাছ থেকে গ্রেফতারের পর ৪টি ল্যাপটপ, ৬টি মোবাইল ফোন, ২টি পেনড্রাইভ, ১টি এটিএম কার্ড এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ‘হিজবুত তাহরীর’ সংশ্লিষ্ট উগ্রবাদী বই, লিফলেট ও জঙ্গি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। উভয় আসামিদেরকে গ্রেফতারের পরে তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে এবং উদ্ধারকৃত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও ডকুমেন্ট পর্যালোচনায় জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ খুলনা অঞ্চলে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিজবুত তহারীর এর নীতি আদর্শ বাস্তবায়নের লক্ষে কাজ করে যাচ্ছিল, মূলত তারা প্রচলিত রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা ও সংবিধানকে না মেনে উক্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল। এরই লক্ষে তারা সমাজের বিভিন্ন পেশাজীবি পর্যায়ে এবং বিশেষ স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমানে অধ্যয়নরত শিক্ষর্থী, কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক এবং সমাজের মেধাবী মানুষদের উগ্রবাদী আদর্শে প্রভাবিত করে জঙ্গি কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রচলিত রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ভেঙ্গে দিয়ে শতভাগ ধর্ম ভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করতে উক্ত তৎপরতা চালিয়ে আসছিল দীর্ঘদিন যাবৎ। এদের মধ্যে ১নং আসামি মোঃ আনিসুর রহমান রুহুল আমিন রকি(৩৬), পিতা-মোঃ আতিয়ার রহমান। তিনিই মূলত খুলনা অঞ্চলে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিজবুত তাহরীরের কার্যক্রম প্রচার প্রসারের দায়িত্ব পালন করে আসছিল। তার নিজ বাড়ি কুষ্টিয়া জেলায়। তার বাবা একজন ধান-চাল ব্যবসায়ী। তিনি কুষ্টিয়া সরকরি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করে। পরবর্তীতে ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি ঢাকা এর ফার্মেসী বিভাগ হতে অর্নাস সম্পন্ন করে এবং এরপরে সে জঙ্গি কার্যক্রমে জড়িয়ে যায়। এরই ফলশ্রুতিতে ইতোপূর্বেও ২০১১ ও ২০১৩ সালে ডিএমপি’র গুলশান থানা এবং ২০১৫ সালে ডিএমপি’র ভাটারা থানা কর্তৃক গ্রেফতার হয়ে যথাক্রমে ৩, ৭ ও ১৩ মাস কারাভোগ করে। সে তার সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে নির্দেশনা গ্রহণপূর্বক জুম মিটিং এবং গোপন বৈঠকের মাধ্যমে কর্মী সংগ্রহ ও রাষ্ট্র বিরোধী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছিল। বর্তমানে রোজডেল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, সোনাডাঙ্গা ১ম ফেজ, সোনাডাঙ্গা মডেল, কেএমপি, খুলনাতে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত থেকে তার এ জঙ্গি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল বলে সে স্বীকার করে ।