টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে বালুবাহী ট্রাকের চালক সুমন মিয়াকে (২৬) আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেয়ার পর মৃত্যুর হয়েছে।
ট্রাক চালক সুমন তিনি উপজেলার জামুরিয়া এলাকার গোলাম মোস্তফার ছেলে।
বুধবার রাত ৮টার দিকে তাকে বালুবাহী ট্রাকসহ আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর রাত সাড়ে ১০টায় থানা হেফাজতে তার মৃত্যু হয়।
জানা যায়, উপজেলার সাগরদীঘি থেকে দুইটি বালুবাহী ট্রাক ঘাটাইল কলেজ মোড় এলাকায় আসার পর আটক করে পুলিশ। পরে চালকসহ দুইটি ট্রাক থানায় নেওয়া হয়। এরপর ট্রাকের কাগজপত্র দেখে পুলিশ। এরপর একটি ট্রাকের চালক সুমন হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। এসময় সে পানি খেতে চাইলে পুলিশ পানি পান করায় সুমনকে। পরে একপর্যায়ে সুমন মাটিতে পড়ে যায়।
আরেক ট্রাকের চালক নিহত সুমনের চাচাতো ভাই সুজন মিয়া জানান, আমরা ট্রাক নিয়ে কলেজ মোড় আসার পরই পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে। এসময় একটি গাড়ির কাগজপত্র না থাকায় বাড়িতে লোক পাঠানো হয়। এসময় ভয়ে সুমন অসুস্থ্য হয়ে পরে। পুলিশকে বারবার বলেছি সুমন অসুস্থ্য তারপরও কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.শহিদুল ইসলাম জানান, ওই চালককে হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে।
জামুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম খান হেস্টিংস বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে সুজনের মরদেহ দেখতে পেয়েছি। কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে সেটা তদন্ত করলে জানা যাবে।
এ ব্যাপারে ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসাইনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ঘাটাইল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ইরতিজা হাসান জানান, ড্রাম ট্রাক চলাচল নিষিদ্ধ ছিল। সেই অনুযায়ী পুলিশ দুইটি ট্রাক আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর সেখানে একজন অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। এরপর পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, নিহত সুমন আগে থেকে অসুস্থ্য ছিলেন বলে তার পরিবার জানিয়েছে।