টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী উপজেলাধীন বল্লা ইউনিয়নে, সিংগাইর গ্রামে ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা আব্দুল কাদেরের পার্টনারদের মধ্যে কোন্দলের জেরে (বিএনএসএম) ইটভাটা বন্ধ, ফলে দেড় শতাধিক শ্রমিকের পেটে লাথি বা শ্রমিকদের কাজকর্ম বন্ধ। সোমবার (২০ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় সরোজমীনে গিয়ে দেখা যায় সিংগাইর ব্রীজ সংলগ্ন (বিএনএসএম) ইটভাটায় ইট কাটার মাঠে বিভিন্ন সরঞ্জাম ট্রলিসহ পরিত্যাক্ত অবস্থায় আছে। যেখানে ইট পোড়ানো হয় সে খোলাও বিভিন্ন ময়লা আবর্জনা বা আগাছায় ভরা। চিমনি দিয়ে ধৌঁয়া নির্গত হচ্ছে না। অর্থাৎ সারাদেশে ইটভাটায় নতুন ইট পোড়ানো শুরু হলেও (বিএনএসএম) ইটের ভাটা বন্ধ দেখতে পাওয়া যায়। সরোজমীনে উপস্থিত কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, মোঃ আব্দুল কাদেরের পার্টনারদের সাথে অর্থনৈতিক কোন্দলের ফলে ইটভাটা বন্ধ আছে। উল্লেখ্য, উপস্থিত ট্রাক্টর চালক সিংগার মধ্যপাড়ার মৃত আব্দুল গনি মিয়ার ছেলে মো. মোখলেস খান বলেন, তাদের পার্টনারদের হিসেব নিয়ে মতনৈক্য সৃষ্টি হওয়ায় আপোষ মিমাংসার জন্য কয়েকটি ইট ভাটার মালিকসহ ২২ গ্রামের মাতব্বরগণ দরবার শালিস করে। পার্টনার নাছির গং এর হিসাব অনুযায়ী আঃ কাদের কে ৫০ লাখ টাকা দিয়ে পার্টনারশিপ থেকে বিদায় করে নাছির গং একক ভাবে ভাটা চালাবে। এই সিদ্ধান্তের সম্মতির জন্য তিন দিন সময় বেদে দেয়া হয়। কিন্তু তিন দিন না যেতেই আঃ কাদের মামলায় পরে। যার ফলে ভাটা বন্ধ আছে। তাছাড়া সিংগারের মধ্যপাড়ার মৃত মোহাম্মদ গনি মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, সিংগাইরের মৃত নেওয়াজ আলী খানের ছেলে মোঃ আলম খান, সিংগাইর মধ্যপাড়ার মৃত হেকমত বাউলের ছেলে মোহাম্মদ রফিক বাউল সকলেই ইট ভাটা বন্ধ সম্বন্ধে বলেন, এই ভাটার পরিচালক মো: নাছির ও মো: সজীব কয়েক লাখ টাকার সঠিক হিসাব আঃ কাদের না দেওয়ায় তাদের সাথে কথা-কাটাকাটি সৃষ্টি হয়, কিন্তু মাতব্বরগন বিচারে যে কোন এক পক্ষ কে ভাটা চালু করার জন্য তিন দিনের সময় দেয়, দুঃখের বিষয় তিন দিন না যেতেই পরের দিনই আঃ কাদের একটি মামলায় আটক হয়, ফলে ভাটা বন্ধ আছে। আমি মনে করি, এই ইট ভাটায় কাজ করে যারা জীবিকা নির্বাহ করতেন তাদের স্ত্রী, পুত্র-কন্যাদের নিয়ে কোন রকম দিন যাপন করছেন। তাদের এই অভাব-অনটনের দিনে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতির মুহূর্তে শ্রমিকদের দিকে তাকিয়ে ইট ভাটা চালু করার ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।