বিএনপি-জামায়াতের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে দূরপাল্লার গণপরিবহনের তেমন দেখা মিলছে না। তবে এ মহাসড়কে লেগুনা, সিএনজি, অটোরিকশা ও অটোভ্যান দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে। ২৯ অক্টোবর রবিবার ভোর থেকে বেলা সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত এ মহাসড়কের টাঙ্গাইলের আশেকপুর বাইপাস, রাবনা বাইপাস, এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড ও বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেল স্টেশন এলাকাঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। এদিকে মহাসড়কে দূরপাল্লার গণপরিবহন তেমন না থাকায় বিপাকে পড়েছে ঢাকা ও উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীরা। সেতু পূর্ব থেকে টাঙ্গাইল শহরে দিকে লেগুনা ও সিএনজি ছাড়া বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি। অপরদিকে বিএনপি-জামাতের ডাকা হরতালের কারণে মহাসড়কে তিন চাকার ছোট ছোট পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছতে হচ্ছে। বেশি বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। টাঙ্গাইল রাবনা বাইপাস থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রী মো. সেলিম মিঞা, কামরুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, তাহাবী মিঞা বলেন, এক ঘন্টা যাবত বাইপাসে এসে দাঁড়িয়েছি,ঢাকা যাবো। এরমধ্যে দুটি গাড়ি আসলেও চান্দরা পর্যন্ত ৩’শ টাকা ভাড়া চাচ্ছে। সে কারনে যাইনি। তারা আরোও বলেন টাঙ্গাইল থেকে চান্দরা ভাড়া ১’শ থেকে ১শত পঞ্চাশ টাকা সেখানে ভাড়া চাচ্ছে ৩’শ টাকা। ডাবল ভাড়া চাচ্ছে। সেখান থেকে ঢাকা যেতে আবার ৩’শ টাকা খরচ হবে তাই দাঁড়িয়ে আছি। সিএনজি চালক কামরুল মিয়া,নুরন্নবী মিয়া, আলআমিন মিয়া বলেন, ভাড়ায় সিএনজি চালায়। সিএনজি চালিয়ে যে টাকা আয় করি সে টাকা দিয়ে সংসার চলে। হরতালের কারণে ভয়ে ভয়ে নিরূপায় হয়ে রাস্তায় বের হয়েছি। কিন্তু রাস্তায় যাত্রীর সংখ্যা কম। তাই ভাড়ার টাকা উঠাতে পারবো কি না চিন্তায় আছি। সেতু পূর্ব রেল স্টেশনে অপেক্ষারত পোশাককর্মী রাসেল মিয়া বলেন, ছুটি শেষে রবিবার ভোরে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেল স্টেশনে বাসের জন্য কয়েক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও সরাসরি ঢাকার বাস মেলেনি, জানলাম হরতাল। তাই বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর আশরাফ বলেন, রবিবার ভোর থেকে মহাসড়কে দূরপাল্লার পরিবহন তেমন চলতে দেখা যায়নি। বিশৃংখলারোধে আইনশৃংখলাবাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছে।