নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, সিইসি ও ইসির বিদ্যমান সুবিধাদি একই থাকছে। সিইসি আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি যে সুযোগ সুবিধা পান সেটাই পাবেন; আর কমিশনাররা হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির সমান সুযোগ সুবিধা পাবেন।এ কমিশন সভায় আপাতত এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি আজ কমিশন সভার পরে বলেন,১৯৮৩ সালের অর্ডিন্যান্স বাংলায় অনুবাদ করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। কারণ, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট, সরকারি নির্দেশনার আলোকে মামলার রায়ে সামরিক শাসনামলের অর্ডিন্যান্স ও আইনগুলো বাংলায় করা হবে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার সভায় বর্তমান ইসি ২০২৩ সালের এ খসড়া অনুমোদিত হয়েছে। এখন ইসি সচিবালয় তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। সেখানে ভেটিংয়ের পর মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়ে সংসদে যাবে। এ খসড়ায় কোনো পরিবর্তন হয় নিন, শুধু বাংলায় হবে, সালগুলো পরিবর্তন হয়ে ২০২৩ হবে।
ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, বাংলাদেশি প্রবাসী নাগরিকদের এনআইডি কররার যে পাইলট প্রকল্প সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলছে, তার অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পরবর্তীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও দুটি দেশ যুক্তরাজ্য ও সৌদি আরবে কাজ শুরুর অনুরোধ জানিয়েছে। সেগুলো কাজের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর এবার যুক্তরাজ্য ও সৌদি আরবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার তালিকাভূক্ত করে স্মার্ট এনআইডি দিতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।চলতি বছর জুলাইয়ে বর্তমান কমিশন সংযুক্ত আরব আমিরাতে স্মার্ট কার্ড তুলে দেয়।
ভোটের আগে যুক্তরাজ্য ওসৌদি আরবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের হাতে এনআইডি সেবা দেয়ার আশা প্রকাশ রাখেন সচিব জাহাংগীর আলম। তিনি বলেন, আমরা এটা শুরু করেছি। কবে পাবে না (দুই দেশে টিম) যাওয়া পযন্ত বলা যাচ্ছে না। তবে আশা করি, আমরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে করতে পারবো।
তিনি জানান, কর্মকর্তা নিয়োগ নীতিমালা, প্যানেল প্রস্তুত নির্দেশিকা, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ সূচি ও ভোটের সময় মাঠ কর্মকর্তাদের আপ্যায়ন ভাতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সময় ইসির অতিক্তি সচিব অশোক কুমার দেবনাথ ও এনআইডি উইং মহাপরিচালক একেএম হুমায়ুন কবীর উপস্থিত ছিলেন।