রাশিয়ার সঙ্গে টেক্কা দিতে ইউক্রেনকে শক্তিশালী এফ-১৬ বিমান পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেদারল্যান্ডস। রোববার দেশটির প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে যুদ্ধবিমান সরবরাহের বিষয়টি চূড়ান্ত করেন।
চুক্তি সই শেষে আইন্দহোভেনের একটি বিমান ঘাঁটিতে প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেন, ‘আজকের এ সিদ্ধান্তটি আমাদের জন্য ঐতিহাসিক, শক্তিশালী এবং অনুপ্রেরণামূলক। এটি ইউক্রেনকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
ইতোমধ্যেই নেদারল্যান্ডস ছাড়াও ডেনমার্ক ইউক্রেনের কাছে এফ-১৬ হস্তান্তর করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদনের দুই দিন পর ইউক্রেনকে এ যুদ্ধবিমান পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় এ দুটি দেশ।
যুদ্ধবিমানের বিষয়ে ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডস সফরে গিয়ে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গ সাক্ষাৎ করেছেন জেলেনস্কি।
রোববার নেদারল্যান্ডসের আইন্দহোভেন বিমানঘাঁটিতে সফরে ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জেলেনস্কি। সেখানে জেলেনস্কি বলেছেন, এফ-১৬ সরবরাহ আমাদের জন্য ঐতিহাসিক, শক্তিশালী অনুপ্রেরণামূলক সিদ্ধান্ত।
এ বিষয়ে ডাচ প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, নেদারল্যান্ডসের বিমানবাহিনীর কাছে ৪২টি এফ-১৬ রয়েছে। কিয়েভকে কতগুলো দেওয়া যেতে পারে এ নিয়ে মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি। তারপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পরে জেলেনস্কি ডেনমার্ক সফরে দেশটির স্ক্রাইডস্ট্রুপ বিমানঘাঁটিতে যান। সেখানে তাকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন।
ডেনিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা জানি আপনাদের আরও বেশি প্রয়োজন। আমরা ঘোষণা দিচ্ছি, ইউক্রেনকে ১৯টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেবো। এ বছরের শেষ নাগাদ ৬টি, ৮টি পরের বছর এবং বাকি পাঁচটি ২০২৫ সালে সরবরাহ করা হবে।’
ইউক্রেন দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়ার বিমানবাহিনীর শ্রেষ্ঠত্ব মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান চেয়ে আসছে।
যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ‘এফ-১৬ ফাইটিং ফ্যালকন’ যুদ্ধবিমানকে পৃথিবীর সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ফাইটার জেট হিসেবে বিবেচনা করা হয় এখনও। ১৯৭০ দশকে এই বিমানটি যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি হয়। এখন পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজারের মত এফ-১৬ তৈরি করা হয়েছে।