জামালপুরে স্ত্রীর শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় স্বামী প্রেমানন্দ ক্ষত্রিয় শুভনকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৭আগস্ট) দুপুরে জামালপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো.রফিকুল ইসলাম এ আদেশ দেন। মামলা সুত্রে জানা যায়, প্রেমানন্দ ক্ষত্রিয় শুভন জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের ইয়াসমিন আক্তার নামে এক নারীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন। পরে তিনি ধর্মান্তরিত হয়ে ২০১৫সালে তাকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই শুভন স্ত্রী ইয়াসমিনকে জমি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ সৃষ্টি হয়। এ কলহের জেরে ধরে ২০২০ সালের ০১জুলাই রাতে স্ত্রী ইয়াসমিনের গায়ে পেট্রোল ঢেলে সিলিন্ডার গ্যাসের জলন্ত চুলার উপর ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় শুভন। এতে সারা শরীরে আগুন লেগে দগ্ধ হলে ইয়াসমিনকে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ জুলাই মারা যায় ইয়াসমিন। এ বিষয়ে মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় ইয়াসমিনের বড় বোন হাজেরা বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ১৫জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহনের ভিত্তিতে আসামী প্রেমানন্দ শুভনকে মৃত্যুদন্ড ও এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ডের আদেশ দেন বিজ্ঞ আদালত। এ প্রসঙ্গে মামলার আসামীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো.দিদারুল ইসলাম জানান, এই মামলায় প্রকৃতপক্ষে কোনো প্রকার আই উইটনেস নেই। আমরা এই মামলায় ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। আমরা উচ্চ আদালতে আশ্রয় নিবো। উল্লেখ, নিহত ইয়াসমিন আক্তারের বাড়ি নেত্রকোনায় এবং শুভনের বাড়ি ময়মনসিংহে। চাকরি সূত্র ধরে তারা জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।