ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের ঠুমনিয়া নিজের বাড়ি থেকে রাজেকুল ইসলাম (৪৬) নামের ১ স্কুলশিক্ষকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ৯ আগষ্ট বুধবার বিকেলে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের ঠুমনিয়া শিলপাটি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। বিয়ের পরদিন থেকে স্ত্রী তার বাবার বাড়িতে থাকায় ও ঋণের চাপে আত্মহত্যা করতে পারেন বলে জানিয়েছে পরিবার। লাশ উদ্ধারের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন বালিয়াডাঙ্গী থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুস সোবহান। তিনি বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিদর্শন করেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।’ রাজেকুল ইসলাম ধনতলা ইউনিয়নের ঠুমনিয়া শিলপাটি গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে। তিনি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের প্রত্যুষা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। পরিবারের লোকজন ও পুলিশ জানায়, বয়স হয়ে গেলেও বিয়ে করেননি রাজেকুল। প্রতিবেশী, পরিবার ও সহকর্মীদের কথা রাখতে গত ২৭ জানুয়ারি রানীশংকৈল উপজেলার স্নাতকপড়ুয়া ১ ছাত্রীকে বিয়ে করেন তিনি। তবে বিয়ের পরদিনই পরীক্ষা দেওয়ার কথা বলে বাবার বাড়িতে চলে যান স্কুলশিক্ষকের স্ত্রী। এরপর থেকে আর ফেরেননি তিনি। ৯ আগষ্ট বুধবার সন্ধ্যায় দেন-মোহরানা পরিশোধ করে রাজেকুল ও তাঁর স্ত্রীর বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয় উভয় পরিবার। এর আগেই দুপুরে নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন শিক্ষক। পরে দীর্ঘক্ষণ দরজা না খোলার কারনে গ্রাম-পুলিশকে ডেকে জানান, রাজেকুলের ভাই আইয়ুব আলী। পরবর্তীতে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। আইয়ুব আলী বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে বউ বাবার বাড়ি থেকে না আসায় ও ১৫ লাখ টাকার ঋণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিল রাজেকুল। এদিকে তালাক দিতে হলে দেন মোহরানা পরিশোধ করতে হবে মোটা অঙ্কের। দুটি বিষয় নিয়ে ভীষণ চাপে ছিল ছোট ভাই। এ কারণেই আত্মহত্যা করতে পারে বলে, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছি।