ঠাকুরগাঁও জেলায় কারিগরি প্রশিক্ষন কেন্দ্র (টিটিসি) এর পক্ষ থেকে কর্মসুচী ও সচেতনতামূলক ডেঙ্গু প্রতিরোধে র্যালি করা হয়। গত শনিবার সকাল ১০ টায় উক্ত র্যালিটি শুরু হয়। র্যালিটি কারিগরি প্রশিক্ষন কেন্দ্র (টিটিসি) হতে শুরু করে প্রায় ২ কিলোমিটার পঞ্চগড় দিনাজপুর প্রধান সড়ক হয়ে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড গোল চত্বর প্রদক্ষিন করে আবার কারিগরি প্রশিক্ষন কেন্দ্র (টিটিসি)তে এসে শেষ হয়। উক্ত ডেঙ্গু সচেতনমূলক র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন কারিগর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) অধ্যক্ষ মোঃ সামছুর রহমান, এছাড়াও কম্পিউটার ট্রেড,জেনারেল ইলেকট্রিক্যাল ট্রেড, ইলেকট্রনিক্স ট্রেড, ফুড প্রসেসিং ট্রেড,গার্মেন্টস ট্রেড,আর–এসি ট্রেড, অটোমোবাইল ট্রেড সহ সকল ট্রেড এর শিক্ষক ও কারিগরি প্রশিক্ষন কেন্দ্রের প্রায় ২ শতাধিক ছাএ-ছাএী ও প্রশিক্ষনার্থী অংশগ্রহণ করেন। র্যালি শেষে কারিগরি প্রশিক্ষন কেন্দ্রের অধ্যক্ষ মোঃ সামছুর রহমান সংক্ষিপ্ত সচেতনতামূলক শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন,ডেঙ্গুজ্বর প্রতিরোধে দুটি মূল বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া উচিত। ১। এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করা এবং মশাকে মেরে ফেলা, ২। মশার কামড় থেকে নিজেকে বাঁচানো। ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তোলা সময়ের দাবি। বাংলাদেশে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কোনো একক ব্যক্তি, সংগঠন বা মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সম্ভব নয়। সবার সময়োপযোগী, কার্যকর পদক্ষেপ, সমন্বিত সচেতনতা, মশা নিধনে বিদ্যমান প্রকল্পগুলোকে আরও কার্যকর ও শক্তিশালী করার মাধ্যমে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। সরকার এবং জনগণের সমন্বিত উদ্যোগই পারে এ মহামারি থেকে আমাদের সুরক্ষিত রাখতে। পরিবেশের পরিচ্ছন্নতা, মশার জৈবিক নিয়ন্ত্রণ, মশক নিধক স্প্রে প্রয়োগ এবং গণসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে পরিপূর্ণভাবে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। ডেঙ্গু মহামারি থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। নিজে সচেতন না থেকে শুধু সরকারের সমালোচনা ডেঙ্গু থেকে মুক্তি দিতে পারবে না। তাই সর্বাগ্রে প্রয়োজন সচেতনতা। এ বিষয়ে সামাজিকভাবে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সরকার-জনগণ উভয় পক্ষের দায়িত্বশীল আচরণ এবং পরিকল্পিত উদ্যোগই পারে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমিয়ে এ সংকট থেকে আমাদের সুরক্ষিত রাখতে। তাই ডেঙ্গু নিয়ে আমাদের আরো সচেতন হতে হবে। মনে রাখতে হবে এসবক্ষেত্রে প্রতিকার নয় প্রতিরোধ সর্বদা উত্তম। প্রতিরোধে করণীয়: ডেঙ্গুকে প্রতিরোধ করতে গেলে সবার আগে একটা বিষয়ই নিশ্চিত করতে হবে। কোনও ভাবেই মশা কামড়াতে দেওয়া যাবে না। এ কারণেই ঘুমানোর সময় মশারি বা মশা তাড়ানোর ওষুধ অবশ্যই ব্যবহার করা উচিত। বাড়িতে কোনও জায়গায় অকারণে পানি জমতে দেওয়া যাবে না। কুলার, ফুলের টব, ভাঙা পাত্রের পানি সপ্তাহে একদিন নিয়ম করে পরিষ্কার করা উচিত। নিজের চারপাশ সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত। এছাড়া ফুলস্লিভ জামা-প্যান্টও আমাদের মশার কামড় থেকে বাঁচতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে, পুষ্টিগুণযুক্ত এমন খাবার খাওয়া উচিত, যা শরীরের জলের ভারসাম্য ঠিক রাখবে। প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়া উচিত।