নড়াইল সদর উপজেলা তুলারামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন বস্তিতে চলছে মাদকসহ নানা অসামাজিক ও অনৈতিক কর্মকান্ড।ফলে নষ্ট হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ পূণবাসনের ব্যবস্থ্যা করলেও এখান থেকে সরতে চান না তারা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নড়াইল সদর উপজেলা তুলারামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন জমিতে গড়ে উঠেছে বস্তি।সরকারি ঘর পেয়েছেন তারাও আছেন এসব বস্তিতে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এ সব বস্তিতে চলছে মাদক ও অসামাজিক কার্যাকালাপ।স্কুল চলাকালিন সময়েও এখানে নানা শ্রেণির মানুষের আনাগোনা দেখা যায়।এদেরকে অন্যত্র পূণবাসন করলে স্কুলের শিক্ষার পরিবেশ ভালো হতো। বস্তিতে বসবাসকারী পবন দাস বলেন,আমি সুইপারের কাজ করি।কাজের জন্য লোকজন আমার খোজ নিতে আসে। আমি কাজ করে খাই।কোন খারাপ কাজের সাথে জড়িত নই। মোক্তার হোসেনের স্ত্রী বলেন,আমার স্বামী শ্রমিকের কাজ করে আমাদের বসবাসের জন্য একটু জায়গা দিলে আমরা চলে যাব। তুলারামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন,বিদ্যালয়ের সামনে ক্যাম্পাস নেই বললেই চলে। স্কুল চলাকালিন সময়ে পাশের বস্তিতে মাঝে মধ্যে নানা ধরণের অনাকাংখিত ঘটনা ঘটে।ফলে শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হয়। তুলারামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি এমদাদুল হক (সাহেব) বলেন,তুলারামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছয়শর বেশি ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে।সামনে ক্যাম্পাসে জায়গা খুবই সংকীর্ণ। রোটারী ক্লাবের অর্থায়নে তুলারামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংলগ্ন জমিতে মাটি ভরাট করে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ক্যাম্পাস বড় করার পাশপাশি ফুলের বাগানসহ দৃষ্টিনন্দন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।আর এখানে যারা বসবাস করে তাদেরকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মিলে আর্থিক সহায়তা সহ তাদের পূণবাসনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।কারো কোন প্রকার ক্ষতি হবে না বরং তাদের স্থায়ী আবাসের ব্যবস্থা করা হবে।