বান্দরবানে র্যাবের সাথে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র পাঁচ সদস্যকে আটক করা হয়েছে এবং অভিযানকালে র্যাবের ৯জন সদস্য আহত হয়েছেন তাদেরকে র্যাবের অধীনে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে থানচি তমাতুঙ্গীতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে নতুন নির্মিত থানচি-বড়মদক সংযোগ সড়ক রেমাক্রী ব্রিজ হয়ে জঙ্গিরা আসতেছে তখনই র্যাব মঙ্গলবার সকাল থেকে থানচি রেমাক্রী ব্রিজ এলাকায় অবস্থান নিলে জঙ্গিদের সাথে র্যাবের গোলাগুলি হয়।
সংবাদ সম্মেলন চলাকালীনও র্যাবের সাথে জঙ্গিদের থেমে থেমে গোলাগুলি চলছে বলে জানিয়েছেন। তিনি আরো জানান জঙ্গিদের গুলি শেষ হলে অক্ষত অবস্থায় তাদেরকে আটক করার চেষ্টা করা হচ্ছে সেজন্য একটু কৌশলী সময় ক্ষেপন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
মহাপরিচালক আরো বলেন, গত অক্টোবর থেকে চলতি ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে ৩৮জন জঙ্গি ও ১৪জন কেএনএফ সন্ত্রাসী সদস্যকে আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
তিনি যোগকরেন প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা জঙ্গি সন্ত্রাস জিরো টলারেন্স এই নীতি নিয়ে র্যাব অভিযান অব্যাহত রেখেছে এবং পাহাড় কিংবা সমতলে জঙ্গিদের এক ইঞ্চি জায়গাও ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। জঙ্গি-সন্ত্রাস নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানানিয়েছেন এলিট ফোর্স র্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই পর্যন্ত পাহাড়ে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী নির্মূল অভিযানে র্যাব ৮০ভাগ সফল হয়েছে। আশা করছি শতভাগ সফল হবো। হুজি, আনসারুল্লাহসহ বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সমন্বয়ে জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ গঠন করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন র্যাবের গোয়েন্দা প্রধান লে.কর্ণেল মশিউর রহমান এবং র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনসহ র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।