নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের আলিম শেখ এর স্ত্রী শেফালী বেগম ওরফে আন্নাকে গলা কেটে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন। পুলিশ সোমবার দুপুরে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেওয়ার জন্য দূর্বৃত্তরা এ হত্যাকান্ড সংগঠিত হতে পারে বলে এলাকাবাসী ও স্বজনদের ধারণা। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের গৃহবধূ শেফালী বেগম তার মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়ে নাহিদা খানমকে রাতের খাবার দেওয়ার জন্য জা পারুল বেগমকে সাথে নিয়ে রবিবার রাত ৮ টার দিকে পাশ্ববর্তী মাদ্রাসা খাদিজাতুল কোবরা কওমী মাদ্রাসায় যায়। নিহত শেফালী খানমের স্বামী আলিম শেখ জাহাজের মাস্টারে কর্মরত আছে বর্তমান আলিম শেখ জাহাজ নিয়ে ভারতে আছে। শেফালী বেগমের ভার্সিটিতে পড়ুয়া একটা পুত্র সন্তান আছে।সে বর্তমানে বিসিএস পরীক্ষার জন্য ঢাকাতে আছেন। শেফালী ও তার জা পারুল বেগম সেখান থেকে বাড়ি ফিরে এসে রাতের খাবার শেষে যার যার বাড়িতে ঘুমিয়ে পড়ে। সোমবার সকালে শেফালী ঘুম থেকে না ওঠায় স্বজনদের সন্দেহ হয় এবং এক পর্যায়ে জা পারুল বেগম ঘরের পেছনের দরজার ছিটকানি বন্ধ দেখতে পেয়ে দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে শেফালীর রক্তাক্ত দেহ দেখতে পাই। খবর পেয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে প্রেরন করে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহ্রত রক্তমাখা বটি সোনার গহনার পাচটি বক্স উদ্ধার করে। নিহত শেফালী বেগমের দেবর আবেদ শেখ বলেন,নগদ টাকা ও সোনার গহনার জন্য আমার ভাবীকে হত্যা করা হযেছে। পুলিশ সুপার মোছাঃ সাদিরা খাতুন বলেন, এই বয়সী একজন মহিলাকে গলা কেটে হত্যা করবে এাঁ মেনে নেওয়া হবেনা। পুলিশ কনেষ্টবল নিয়োগে ব্যস্ত থাকার কারনে আমি পরে যাব। অলরেডি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম চলে গেছেন। এলাকায় ওসি সহ অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে আছেন।