ঘোষেরহাট টু ঢাকা রুটের এমভি জাহিদ-৭ লঞ্চের ষ্টাফ কেবিনে দুই কিশোরীকে ধর্ষণের মামলায় লঞ্চের লস্কর মফিজকে গ্রেফতার করেছে দুলারহার পুলিশ। গতকাল বুধবার সকালে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট থানা ঘোষেরহাট লঞ্চ ঘাটে জাহিদ-৭ লঞ্চ থেকে মফিজকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্ত মফিজ উপজেলার দুলারহাট থানার নীলকমল ইউনিয়নের চরযমুনা গ্রামের মো. বাদশা মিয়ার ছেলে। ভুক্তভোগী দুই কিশোরী পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার চর কাজল ইউনিয়নের বাসিন্দা। তাদের একজনের বয়স ১৪ বছর অপরজনের বয়স ১৮ বছর। বুধবার ভুক্তভোগী এক কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে লঞ্চের লস্কর মফিজকে আসামি করে দুলারহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। থানায় দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা যায়, ঘোষেরহাট লঞ্চঘাট থেকে ঢাকাগামী জাহিদ-৭ লঞ্চে উঠে ডেকে বিছানা করে বসেন দুই কিশোরী। সন্ধ্যার দিকে জাহিদ-৭ লঞ্চের লস্কর মফিজ তাদেরকে কেবিনে থাকার প্রস্তাব দেয়। লস্কর মফিজের কথায় রাজি হয়ে দুই কিশোরী ইঞ্জিন রুমের পাশে দোতলা স্টাফ কেবিনে যায়। রাত আনুমানিক ১২ টার দিকে লস্কর মফিজ উপরের কেবিনে প্রবেশ করে কাঠের পাটাতন সরিয়ে নিচে প্রবেশ করে। হাতে ছুরি নিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে দুই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। ভোরে লঞ্চ সদরঘাটে পৌঁছালে দুই কিশোরী লঞ্চ থেকে নেমে ঢাকার নারায়ণগঞ্জে মেসে ওঠে। তারা দু’জন একটি গার্মেন্টসে চাকরি করে। ভুক্তভোগী এক কিশোরী তার বাবাকে এই ঘটনা জানালে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে দুলারহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করে। পুলিশ বুধবার জাহিদ-৭ লঞ্চের লস্কর মফিজকে লঞ্চ থেকে গ্রেফতার করে। দুলারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল হক জানান, এ ঘটনায় এক কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত লঞ্চের লস্কর মফিজকে আমরা গ্রেফতারে করে কারাগারে পাঠিয়েছি।
///