শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমাদের আইনের বাইরে যাবার সুযোগ নাই। যারা আইনের আওতায় আছেন অর্থ্যৎ যাদের বয়স ৩৮ এর কম তারা আবেদন করতে পারবেন এবং চাকরি প্রাপ্তির সুযোগ থাকবে। করোনার কারণে তিন বছরের একটা ছাড় আইন অনুযায়ী পাবেন। এখানে আইনের বাইরে যাবার সুযোগ নেই।
সোমবার (২ জানুয়ারি) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে দীর্ঘ দিনের আন্দোলন শেষে প্যানেল প্রত্যাশীদের নিয়ে আলোচনায় বসেছিল বেসরকারি শিক্ষক সমস্যা সমাধানে বসেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। যাতে যোগ দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
বৈঠক শেষে মন্ত্রী আরও বলেন, এখানে অনেকেই মানবিকতার কথা বলেছেন। আমরা তাদের সমস্যার কথা বুঝি কিন্তু আমাদের আইনের বাইরে যেয়ে কিছু করবার সুযোগ নেই। যারা এর বাইরে পারবেন তাদের বলতে চাই আর সুযোগ নেই। তাদের বলব আর সময় নষ্ট না করতে।
প্যানেলভিত্তিক নিয়োগের দাবিতে ২০০ দিনের অধিক সময় আন্দোলন করেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) নিবন্ধিতরা। ২০২২ সালের গত ৫ জুন থেকে শাহবাগ জাতীয় গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের সামনে অনশন শুরু করেন তারা। ২০০তম দিনে (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছিলেন তারা। শাহবাগ অবরোধ করায় পুলিশ তাদের উপর হামলা করেছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন তারা।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ৩৫ পেরোনো এসব নিয়োগ প্রত্যাশীদের দায় নেবে না মন্ত্রণালয়। যাদের বয়স ৩৫ হয়নি তারা আবেদন করতে পারবেন। আর করোনার কারণে নষ্ট হওয়া তিন বছর যুক্ত হবে। অর্থাৎ ৩৮ এর কম যাদের বয়স তারা আবেদনের সুযোগ পাবেন। বৈঠক শেষে আন্দোলনকারী প্যানেল প্রত্যাশীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
আন্দোলনকারী চাকরি প্রত্যাশী কাকলি বলেন, আমরা উপেক্ষিত হলাম আমাদের ন্যায্য দাবি থেকে। এখন আমাদের পরবর্তী কার্যক্রম ঠিক করতে নিজেদের মধ্যে বৈঠক চলছে। আমাদের দাবি আমরা আদায় করতে আমরা বধ্য পরিকর।
উল্লেখ্য, আন্দোলনকারীদের তিন দফা বাস্তবায়নের জন্য সড়কে ছিলেন। এমনকি তারা ঈদের দিনেও সড়ক ছেড়ে যাননি। তাদের দাবিগুলো হলো- আবেদনে সব নিবন্ধনধারীকে প্যানেলভিত্তিক নিয়োগ দিতে হবে; সকল নিবন্ধনধারীদের স্ব স্ব নীতিমালায় নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত নিবন্ধন পরীক্ষা বন্ধ রাখতে হবে এবং ইনডেক্সধারীদের গণবিজ্ঞপ্তির অন্তর্ভুক্ত না করে আলাদা বদলির ব্যবস্থা করতে হবে।
তারা অভিযোগ করে আসছিলেন, শাহবাগে সনদধারীদের চাকরি দাবিতে অনশন করছেন। কিন্তু দাবির তোয়াক্কা না করেই চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।